ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের ফলে বঙ্গোপসাগরের নিকটবর্তী পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা রেঞ্জ(রাঙ্গাবালী) এর চরকাসেম ফরেস্ট ক্যাম্পে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের সুফল প্রকল্পের ১৫ হেক্টর মাউন্ট বাগানে সৃজনের জন্য ২২,৫০০টি মাউন্ট তৈরি করা হয়েছিল তা বঙ্গোপসাগরের পানির তোড়ে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গিয়েছে। এছাড়াও বঙ্গোপসাগরে জেগে উঠা চর শেরে বাংলা ও চর সাতদাওন এলাকায় বনায়ন প্রকল্পের আওয়তায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ম্যানগ্রোভ কেওড়া নতুন চারা বনায়ন আনুমানিক ৫০০ হেক্টর বন ঝড়ে বিধ্বস্ত সহ ঝাউ চারার নার্সারি সম্পুর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা,চর কাসেম ফরেস্ট ক্যাম্প।
এদিকে বন বিভাগের গলাচিপা রেঞ্জ( বাহেরচর) রাঙ্গাবালী উপজেলার , বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন চর সহ উপকূলীয় এলাকায় বনায়ন প্রকল্পের আওতায় ২০১৭-১৮,২০১৮-১৯,২০১৯-২০ আর্থিক সালে ও সুফল প্রকল্পের আওতায় ২০১৯-২০ আর্থিক সালে গৃহীত বাগানে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন রেঞ্জ কর্মকর্তা, গলাচিপা রেঞ্জ ।তিনি জানান নতুন বাগানের মধ্যে পক্ষীয়া, চড় আগসতী, মাদারবুনিয়া ,শেরেবাংলা, সাতদাওন, মৌডুবী,তুফানিয়া চর , গূঙ্গী পাড়া, কান কুনিপাড়া সহ অন্যান্য এলাকায় এলাকায় ম্যানগ্রোভ বাগানের থেকে ২০ থেকে ৩০ ভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ।
এবিষয়ে পটুয়াখালী বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান , এবারের ঘূর্ণিঝড়ের আমফানের প্রভাবে সাগর ,নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বঙ্গোপসাগরের মোহনার নিকটবর্তী রাঙ্গাবালী ,গলাচিপা এলাকার ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বেশি ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। অতি শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন