৩৬ বছরের সম্পর্ক বাংলাদেশে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সিপিপির সাথে শাহ আলমের।১৯৯১ সালে সিপিপির ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন শাহ আলম, প্রাকৃতিক দুর্যোগ খ্যাত এ অঞ্চলের প্রায় প্রতি বছরই বড় বড় দুর্যোগে সাহসী ভূমিকা নিয়ে কাজ করায় ১৯৯১ সালে টিম লিডারের দায়িত্ব পান শাহাআলম । তিন সন্তানের জনক পেশায় কৃষক শাহ আলম তার সাহসী ভূমিকা দিয়ে বিগত দিনের বড় বড় দুর্যোগ কাজ করেছেন সম্মুখ শাড়িতে থেকে। গতকাল রাতভর কাজ করেছেন শাহ আলম মেগা ফোন নিয়ে প্রচারণা করেছেন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন, দুর্যোগের বার্তা দিয়েছেন । এরই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে স্থানীয় হাফেজ প্যাদার খালের অপর পারের লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য মেগাফোন সহ পোশাক পরিহিত অবস্থায় রওনা হয়েছিলেন নৌকায় করে ।ঝড়ো বাতাসে নৌকা উল্টে তার দুই সহযোগীসহ ডুবে যান তিনি । সহযোগীর একজন ছিল তার নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছোট ছেলে এবং আরেকজন তার চাচাতো ভাই। পরবর্তী দুইজন উঠতে পারল সৈয়দ শাহ আলম (৬০)নিখোঁজ থাকেন । সন্ধ্যা ছটার পরে বরিশাল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এসে শাহ আলমের মৃতদেহ উদ্ধার করেন ,এ সময় দেখা যায় রেডক্রিসেন্টের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত কর্মীর হাতে মেগা ফোনের ব্যাটারি, জীবন চলে গেলেও মানুষকে সজাগ করতে মেগাফোন এর প্রাণ ব্যাটারিকে তিনি হাত থেকে ছাড়েনি ।
কলাপাড়া উপজেলা সিপিপি´র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, মৃত শাহ আলম ছিলেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সিপিপির একজন দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত সাহসী কর্মী, তার মৃত্যুতে আমরা সকলেই শোকাহত ।উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বাংলাদেশের ক্রিসেন্ট সোসাইটি সিপিপির পক্ষ থেকে
সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন