নারায়ণগঞ্জের এমভি সিটি-৫৪ নামের জাহাজের মাস্টার ও ড্রাইভারের বিরুদ্ধে নৌ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৯ জুলাই ঢাকাস্থ স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট নৌ আদালতে বাদি হয়ে ৭০ (১) ও ৭০ (২০) ধারায় মামলাটি দায়ের করেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক (নৌনিট্রা) বাবু লাল বৈদ্য। গত ৭ জুলাই শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর ঘাট এলাকায় এমভি সিটি-৫৪ নামের একটি জাহাজের ধাক্কায় আল কুদ্দুস নামে একটি পাথর বোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবে কার্গোর মাস্টার নিহতের ঘটনা ঘটেছিল।
বিবাদীরা হলেন, এমভি সিটি-৫৪ নামের জাহাজের কর্তব্যরত মাস্টার নড়াইল জেলার কালিয়া থানার পাঠনা গ্রামের বাসিন্দা জাহিদুল খান এবং এমভি সিটি-৫৪ নামের জাহাজের কর্তব্যরত ড্রাইভার গাজীপুর জেলার কালকিনি থানার কয়ারিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের পুত্র মো: জাফর মোল্লা। মামলায় স্বাক্ষী করা হয়েছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের পরিবহন পরিদর্শক (নৌনিট্রা) মো: দেলোয়ার হোসেন ও ট্রাফিক সুপারভাইজার (নৌনিট্রা) হাফিজুর রহমানকে।
অভিযোগে বাবু লাল বৈদ্য উল্লেখ করেন, দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে এমভি সিটি ৫৪ এর কর্তব্যরত মাস্টার ও ড্রাইভারের অদক্ষতা, দায়িত্বে অবহেলা, অবৈধ প্রতিযোগিতা, অসাবধানতা, মাস্টার ও ড্রাইভারের নৌযান পরিচালনার ক্ষেত্রে দূরদর্শিতার অভাব রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। এ দুর্ঘটনার জন্য মাস্টার ও ড্রাইভারের যোগ্যতার সনদ বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা যেতে পারে। উপরোক্ত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ আমলে এনে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর সংশোধনী ২০০৫ এর ৭০ (১) ও ৭০ (২০) ধারায় শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান তিনি।
উল্লেখ্য ৭ জুলাই দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে নারায়ণগঞ্জের ৫নং ঘাটের বিপরীতে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্বতীরে কাঠপট্টি ফেরীঘাটে এমভি সিটি-৫৪ নামের একটি খালি জাহাজ আল কুদ্দুস নামের একটি পাথর বোঝাই কার্গো জাহাজে ধাক্কা দিলে কার্গো জাহাজটি ডুবে যায়। এসময় সিটি-৫৪ নামের জাহাজটি কাঁচপুরের দিকে চলে যায়। ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজটিতে ৬ জন ছিল। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে বাদল মাষ্টার নামের একজনকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন