আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবারও দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। একই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস দরপতন হলো। ঈদের আগের শেষ সপ্তাহ থেকেই টানা উত্থান দেখা দেয় শেয়ারবাজারে। এরপর গত সোমবার কিছুটা মূল্য সংশোধন হয় বাজারে। সেই ধারাবাহিকতায় গতকালও দেকা যায়। এমন বড় পতনের বিষয়ে ডিএসই’র এক সদস্য বলেন, সূচকের এমন পতন হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ কয়েক দিন ধরেই একের পর এক বড় উত্থান হচ্ছে। যখন একের পর এক বড় উত্থান হবে, তখন যে কোনো মুহ‚র্তে বড় পতন হবে এটাই নিয়ম।
তিনি বলেন, টানা উত্থানের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেশ বেড়ে গেছে। ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা মুনাফা তুলে নেয়ার জন্য বিক্রির চাপ বাড়ান। বড় ধরনের বিক্রির চাপ আসায় কিছুটা দরপতন হয়েছে।
গতকাল লেনদেনের শুরুতেই সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতার আভাস পাওয়া যায়। প্রথম ঘণ্টার লেনদেনই বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে। আর লেনদেনের শেষদিকে এসে ধস নামে। এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৬৪ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭২০ পয়েন্টে নেমে গেছে।
প্রধান সূচকের পাশাপাশি বড় পতন হয়েছে অপর দুই সূচকের। এর মধ্যে বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক ৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ১৫ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ৮০ পয়েন্টে নেমে গেছে।
এদিকে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৬৭ প্রতিষ্ঠানের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৬৮টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ১ হাজার ৪০৮ কোটি ২৫ লাখ টাকা। সেই হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৩৫৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ৭৩ কোটি ৮০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ৭১ কোটি ৬৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৪০ কোটি ৬ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, ব্র্যাক ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রামীণফোন, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, আইএফআইসি ব্যাংক এবং বারাকাত পাওয়ার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ১৭৯ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৭টির এবং ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন