শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

সড়ক এখন খাল

নওয়াপাড়া মডেল কলেজ রোড

নজরুল ইসলাম মল্লিক, অভয়নগর (যশোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০, ১২:০৬ এএম

যশোরের শিল্প-বাণিজ্য ও বন্দরনগর নওয়াপাড়ার মডেল কলেজ সড়কে থৈ থৈ পানি দেখে বুজার অবকাশ নেই যে এটা একটা পিচঢালা রাস্তা। দেখে মনে হচ্ছে এটা কোন খাল বা জলাশয়। নওয়াপাড়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের নওয়াপাড়া গ্রামের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। যা নওয়াপাড়া মডেল কলেজ রোড নামে পরিচিত। এ রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন এলাকাবাসীসহ নওয়াপাড়া মডেল ডিগ্রী কলেজের শতশত শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। শুধু তাই নয়, রাস্তাটির পানিবদ্ধ অংশ পেরোলেই সোহান ক্যাডেট কিন্ডার গার্টেন স্কুল। যেখানে শতাধিক কমলমতি শিশু লেখা পড়ে করে। তাছাড়া সড়কটি দিয়ে নওয়াপাড়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের বৃহত্তর ধোপাদী গ্রামের হাজার হাজার লোকের যাতায়াত। সড়কটি ধোপাদী গ্রাম হয়ে যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় যাতায়াতের জন্য মণিরামপুর সড়কের সাথে মিশেছে।
স্থানীয়রা জানান, যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া বেঙ্গল রেলক্রসিং থেকে এ বাইপাশ সড়কটি নওয়াপাড়া মডেল কলেজ অভিমুখে গিয়েছে। সড়কটির মাত্র দুইশ’ গজ অংশে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পরেছেন। এ স্থানটুকু যেন স্থানীয়দের কাছে অভিশাপ হয়ে দেখা দিয়েছে। একের পর এক পালাবদল হয়, নতুন নতুন জনপ্রতিনিধি আসেন, নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুঁড়ি শোনা যায়। তবে স্থানীয়দের দুর্ভোগের শেষ হয়না। এমন মন্তব্য ওই এলাকার শতাধিক মানুষের। তাদের অভিযোগ, একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের এ অংশটুকু হাটু পানি জমে যায়। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম আসলেই জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দেন এবার বৃষ্টি কমলেই শুরু হবে সড়ক ও ড্রেনের কাজ। বর্ষা-বৃষ্টি ও পানি কমে যায়, তার সাথে সবাই ভুলে যায় প্রতিশ্রুতি। আবার বর্ষা ও বৃষ্টি আসে। আবার সড়কে হাটুপানি। আবার সেই দুর্ভোগ। আবারও প্রতিশ্রুতি। এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা, আর কতো বছর গেলে শেষ হবে এ দুর্ভোগ?
সরেজমিনে নওয়াপাড়া মডেল কলেজ রোডে গিয়ে দেখা যায়, যত্রতত্র অপরিকল্পিত বাড়ি-ঘর ও প্রাচীর নির্মাণ করায় বর্ষা মৌসুমে পানি সরানোর কোন ব্যবস্থা নেয়। যার ফলে সড়কটি একটু বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায়। এ সড়কটিতে ড্রেন নির্মাণ করতে হলে বেশ কয়েকটি প্রাচীর ভাঙতে হবে। ভাঙতে হতে পারে কোন কোন বাড়ির দেয়াল, যা অপরিকল্পিতভাবে সড়কটির গা ঘেষে নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সড়কটিতে বেশ কয়েকবার পৌর কর্তৃপক্ষ ড্রেন নির্মাণের পরিকল্পনা করলেও তা ভেস্তে গেছে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, সড়কটিতে ড্রেন নির্মাণ করতে গেলে যারা অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি ও প্রাচীর নির্মাণ করেছেন তারা বাঁধা হয়ে দাড়ান। আর ভোট কমে যেতে পারে এ আশংকায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এসকল অপরিকল্পিত ভবন ও প্রাচীর ভাঙতে জোরালো পদক্ষেপ নিতে চান না। আর প্রতিবছর যার মাশুল দিতে দুর্ভোগ পোহাতে হয় হাজার হাজার মানুষের। তারা দ্রæত এ সড়কটিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ সড়ক সংস্কারের জন্য নওয়াপাড়া পৌরসভার মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্তর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র সুশান্ত কুমার দাস শান্ত জনান, বৈশি^ক মহামারীর করোনার কারণে কাজের টেন্ডার বন্ধ ছিল। অচিরেই কাজের টেন্ডার শুরু হবে এবং ড্রেনেজের কাজসহ পানিবদ্ধাতা নিরাশন হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন