বন্ধ হচ্ছে না লবণ নিয়ে ষড়যন্ত্র। একটি চক্র লেগেই আছে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে লবণ আমদানি করে দেশীয় স্বনির্ভর লবণ খাতকে ধ্বংস করতে। শরীরের ঘাম ঝরিয়ে উৎপাদিত লবণের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার আশঙ্কায় মাঠে নামতে চাচ্ছেন না চাষিরা। এ শঙ্কা থেকে নভেম্বরের শেষ দিকেও কি পরিমাণ জমিতে লবন চাষ হচ্ছে এবং কি পরিমাণ চাষি মাঠে নামছে তা নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। বিসিক লবণ প্রকল্পের উপ-মহা ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান বলেন, ন্যায্যমূল্য না পাওয়ার শঙ্কায় লবণ চাষিরা শঙ্কিত। গত ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত মাঠে ৪ লাখ ৩৬ হাজার মেট্রিক টন এবং মিলারদের কাছে আরো ১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন লবণসহ ৫ লাখ ৭০ হাজার মেট্রিক টন লবণ মওজুদ আছে। মৌসুমের উৎপাদিত নতুন লবণ বাজেরে আসা পর্যন্ত দেশে লবণ ঘাটতির কোন আশঙ্কা নেই।
লবণের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় চাষিরা হতাশ। তার পরেও একটি মহল লবণ ঘাটতির দোহাই দিয়ে লবণ আমদানির মাধ্যমে দেশের স্বনির্ভর লবণ খাতকে পঙ্গু করে দেবার পাঁয়তারা করছে বলে চাষিদের অভিযোগ। তিনি বলেন, প্রতিমন লবণ এখন মাঠে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়। এতে খরচ বাদ দিয়ে চাষিদের পোষায় না। তবে প্রতিমন লবণ কমপক্ষে ৩০০ টাকা হলে চাষিরা খুশী। বিসিক লবণ প্রকল্পের উপ-মহা ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান বলেন, চাষিদের অভয় দিয়ে মাঠে নামানোর চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদেরকে একই খরচে উন্নত এবং অধিক পরিমাণ লবণ উৎপাদনের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বিসিকের উদ্যোগে।
তিনি আরো বলেন, চলতি লবণ মৌসুমে ১৯ লাখ ৫০ হাজার মে. টন লবণ উৎপাদন টার্গেট নিয়ে ৬০ হাজার একর জমি লবণ চাষের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ৪০ হাজার চাষি মাঠে নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের এমপি আশেকুল্লাহ রফিকের মতে প্রতি কেজি লবণের দাম ৮ টাকা হলে প্রান্তিক চাষিদের খরচ পোষিয়ে কষ্ট সার্থক হয়।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে কুতুবদিয়া ও পেকুয়ার কিছু কিছু এলাকায় চাষিরা লবণ মাঠ গুছাতে শুরু করেছেন। লবণ সংশ্লিষ্টদের মতে এবারের আবহাওয়া লবণ উৎপাদনের অনুক‚ল মনে হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া ফেভার করলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রফতানি করার মত বাম্পার লবণ উৎপাদনের আশা করছেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন