আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রেসিডেন্ট টমাস বাখও স¤প্রতি বলেছিলেন, ‘টোকিও অলিম্পিক যেন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আশার আলো দেখায়।’ তার সেই কথাকে শক্তি হিসেবে নিয়েই যেন শত বাধার পরও টোকিও অলিম্পিক নির্ধারিত সময়ে করার ঘোষনা দিয়েছেন আয়োজক জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা।
করোনার কারণে ইতিমধ্যেই এক বছর পিছিয়ে আগামী জুলাই টোকিও অলিম্পিক হওয়ার কথা। নির্ধারিত সময়েই ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্ধ’ গড়ানোর ব্রত জানিয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অলিম্পিকই হবে করোনার বিরুদ্ধে মানুষের বিজয়ের প্রমাণ। জাপানের পার্লামেন্টে সুগা বলেছেন, ‘আমরা করোনা ঠেকাতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেব। এই অলিম্পিক যাতে বিশ্বজুড়ে মানুষকে আশা ও সাহস দিতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।’
জাপানের একটি সংবাদপত্রের রিপোর্ট বলছে, আয়োজন সুষ্ঠু করতে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে দেশটি। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে দুইশ দেশ থেকে ছয় হাজার ক্রীড়াবিদ অংশ নেবেন বলে আশা করছে আইওসি। আগে ঠিক ছিল, ১১ হাজার ক্রীড়াবিদ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। অ্যাথলিটরা তাদের ইভেন্টের পাঁচদিন আগে গেমস ভিলেজে ঢুকতে পারবেন। ইভেন্ট শেষ হওয়ার দুই দিনের মধ্যে তাদের ভিলেজ ছেড়ে চলে যেতে হবে।
উল্লেখ্য, জাপানে তিন লাখ ৩০ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন চার হাজার ৫০০ জন। অন্য উন্নত দেশের তুলনায় জাপানে করোনার প্রকোপ কম। কিন্তু জাপানে এখন আবার করোনা ছড়াচ্ছে। তাই জাপান এখন বিদেশিদের ঢোকা বন্ধ করে দিয়েছে। টোকিও এবং অন্য প্রধান শহরে জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন