বাংলাদেশ আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, আমি চট্টগ্রামে শপথ নিতে যাওয়ার সময় একরাম চৌধুরী ও নিজাম হাজারীর লেলিয়ে দেয়া কুকুরেরা আমার গাড়ি বহরে হামলা চালিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জের তথাকথিত সাংবাদিক হাসান ইমাম রাসেল এ হামলার সাথে জড়িত এবং সে কোম্পানীগঞ্জের মাদক সম্রাট ও বিক্রেতা। সে যুব সমাজকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডাইরি করেছি।
সে ষড়যন্ত্রে উপস্থিত ছিল দাগনভ‚ঞার উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, সোনাগাজীর উপজেলা চেয়ারম্যান লিপটন, ফেনী পৌরসভার মেয়র স্বপন মিয়াজি, কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, একরাম পুত্র শাবাব চৌধুরী, ফখরুল ইসলাম রাহাত, ইস্কান্দার মির্জা শামীম ও নুরুল করিম জুয়েল। আল্লাহর রহমতে একটা ট্রাক এর কারণে আমি বেঁচে যাই। শপথ নিতে যাওয়ার সময় নোয়াখালীর এসপিকে বলেছিলাম আমার সাথে আমার স্ত্রী, সন্তান ও নেতাকর্মীরা আছে, আপনি আমাদেরকে নিরাপত্তা দিন। কিন্তু তিনি নিরাপত্তা দেন নাই। তিনি সবাইকে নিষেধ করেছেন যেন আমাকে কেউ নিরাপত্তা না দেয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইভিএম ভোটের ইতিহাসে বসুরহাট পৌরসভায় সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে ৬৬% ভোট পড়েছে। কাস্টিং ভোটের ৭৭% ভোট আমি পেয়েছি, আর চট্টগ্রামে ভোট ডাকাতি করেও ২২% ভোট কাস্টিং হয়েছে। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের বাঙালিরা আমাকে পছন্দ করেন। শুধু ওবায়দুল কাদের আমাকে পছন্দ করতেছেন না। আমাকে সর্বক্ষেত্রে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি আমাকে হামলার ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত। তিনি নিজাম হাজারী, একরাম চৌধুরীকে বলেছেন, আমার গাড়িতে গুলি করা জন্য। তারা আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। দাগনভ‚ঞায় যে হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকার বসিলায় বসে এ হামলার ষড়যন্ত্র করেছে, সে হামলায় আমাকে ও আমার ছেলেকে মেরে ফেলার জন্য ৫০ কোটি টাকার ফান্ড গঠন করেছে।
কাদের মির্জা গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বসুরহাট পৌরসভার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মির্জা আরো বলেন, ফেনীতে আমার বিরুদ্ধে যে সংবাদ সম্মেলনে যে মিথ্যাচার করেছে তার একটির সাথে আমি জড়িত থাকলে আল্লাহ আমার বিচার করুক, এখানে আমার মৃত্যু হোক। তিনি বলেন, আমি মরার আগে মরব না, লড়াই করে মরব। আমার নিশ্বাস থাকা পর্যন্ত মিথ্যাচারের প্রতিবাদ করে যাবো। আগামী কিছুদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি মিটিং আছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মির্জা বলেন, আমার দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতি বন্ধ করা, আমার গাড়ি বহরে দুইবার হামলার বিচার করা। নোয়াখালী ডিসি মো. খোরশেদ আলম, এসপি মো. আলমগীর হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি, ওসি (তদন্ত) রবিউল হক এর অপসারণ এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, ফখরুল ইসলাম রাহাত ও ফখরুল ইসলাম সবুজকে গ্রেফতার করতে হবে। এসব দাবিতে বুধবার বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জে হরতাল এবং শুক্রবার থেকে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা কোম্পানীগঞ্জ থানার সামনে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচি পালন করব। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এসব কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
মির্জা কাদের বলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিনও আমার সাথে নেই। আমার প্রতিপক্ষের সাথে হাত মিলিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত থানা ঘেরাও করে রাখেন এবং অনির্দিষ্টকালের হরতাল ঘোষণা করেন। বুধবার সকাল ৯টায় ঘেরাও ও হরতাল কর্মসূচী প্রত্যাহার করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন