আমাদের দেশে ভিক্ষুক ও ভিক্ষাবৃত্তি নতুন কিছু নয়। অনাদিকাল থেকেই তা চলে আসছে। উন্নত বিশ্বেও ভিক্ষুক ও ভিক্ষবৃত্তি আছে। আমাদের দেশে সরকারিভাবে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ। পেশা হিসেবে স্বীকৃত নয়। তারপরও অনেক মানুষ ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করছে। রাজধানীসহ সারাদেশে কত সংখ্যক ভিক্ষুক রয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব মতে, শুধু রাজধানীতে ভিক্ষুক রয়েছে ৫০ হাজার। অন্য হিসাবে, সারাদেশে রয়েছে ৭ লাখের মতো। এসব হিসাব কাগজে-কলমে। তবে গত প্রায় এক বছর ধরে চলমান করোনায় এ সংখ্যাটি আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। এক রাজধানীতেই পাঁচ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে আড়াই লাখ। সারাদেশে কতসংখ্যক বৃদ্ধি পেয়েছে, তার হিসাব নেই। সাধারণ হিসাবে ৫০ হাজার ভিক্ষুকের সিংহভাগই পেশাদার। পেশাদার ভিক্ষুকের সমিতিও রয়েছে। রাজধানীতে এমন ভিক্ষুক সমিতি রয়েছে ৫০টির মতো। এসব সমিতির মাধ্যমে পেশাদার ভিক্ষুক ও ভিক্ষাবৃত্তি পরিচালিত হয়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ সমিতিতে ভিক্ষুকদের জমা দিতে হয়। ভিক্ষুক সমিতি ও ভিক্ষাবৃত্তির পৃষ্ঠপোষক প্রভাবশালী মহল কোথায় কয়জন ভিক্ষা করবে তা নির্দিষ্ট করে দেয়। বছরের পর বছর তারা নির্দিষ্ট এলাকায় ভিক্ষা করে। এক ভিক্ষুক অন্য ভিক্ষুকের এলাকায় ভিক্ষা করতে পারে না। দেখা গেছে, শুধু রাজধানীতে প্রতিদিন ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে প্রায় ২০ কোটি টাকা উপার্জিত হয়। এ হিসেবে মাসে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ভিক্ষুকরা আয় করে। এ এক বিশাল বাণিজ্য। এর নেপথ্যে যেমন প্রভাবশালী মহল জড়িত, তেমনি সমাজ কল্যাণ অধিদফতরেরও উদাসীনতা রয়েছে। তবে সবাই যে পেশাদার ভিক্ষুক বা এ পেশাকে সানন্দে বেছে নিয়েছে, তা নয়। এদের অনেকেই কর্মহীন হয়ে উপায়ন্তর না পেয়ে বাধ্য হয়ে এই অসম্মানজনক পথে পা বাড়িয়েছে। রাজধানীর ৫০ হাজার ভিক্ষুকের সাথে যে দুই লাখ ভিক্ষুক যুক্ত হয়েছে, তারা একেবারেই নতুন। তাদের ভিক্ষা চাওয়ার ধরণ এবং নীরবে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা থেকে বোঝা যায়, তারা ভিক্ষা চাইতে অভ্যস্ত নয়। হাত বাড়াতে কুণ্ঠিত হয়। আবার না বাড়িয়েও উপায় নেই। এই নতুন ভিক্ষুকের অনেকেই বলেছে, তারা কর্ম হারিয়ে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছে। জীবন ও জীবিকার জন্য মানুষের কাছে হাত পাতছে। এদের বেশিরভাগই করোনার ধাক্কায় কর্মহীন হয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, করোনায় লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়েছে। দারিদ্র্যসীমার রেখাটি আরও নিম্নগামী হয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনোমিক মডেল (সানেম)-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার প্রভাবে দেশে দারিদ্র্যের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ শতাংশ। অতি দারিদ্র্যের হার বেড়ে হয়েছে ২৮ শতাংশ। এর মূল কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, করোনায় কাজ হারানো, পারিশ্রমিক না পাওয়া এবং কর্মক্ষেত্র বন্ধ হওয়া। এদের মধ্যে চাকরিজীবী ও উদ্যোক্তা রয়েছে। সানেমের হিসাবে, প্রায় ২৪ ভাগ চাকরিজীবীর বেতন কমেছে। এছাড়া ৩২ ভাগ উদ্যোক্তার আয় কমেছে।
দুই.
উপরে যে হিসাব দেয়া হয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে, দেশের প্রায় অর্ধেক বা আট কোটি মানুষ দরিদ্র অবস্থায় রয়েছে। সঙ্গতকারণেই প্রশ্ন আসে, তাহলে আমরা উন্নতি করছি কিভাবে? আমরা যে এত উন্নয়নের কথা বলছি, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল বা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া নিয়ে গর্ব করছি, তার যৌক্তিকতা কোথায়? এই বিপুল দরিদ্র মানুষ নিয়ে কি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া সম্ভব? এটা কি উন্নতির শ্লোগানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে না? আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে, উন্নয়নের জন্য বিদেশ থেকে সরকার যে ঋণ নিয়েছে এবং নিচ্ছে, তা দিন দিন এত বাড়ছে যে, মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ৫২ পয়সা। এই মুহূর্তে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করছে সে এই ঋণের বোঝা নিয়ে জন্মাচ্ছে। ভিক্ষুক তো বটেই, তার ঘরে যে সন্তানটি জন্ম নিচ্ছে, তার মাথায়ও এই বোঝা চাপছে। দরিদ্র ও অতিদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে সরাসরি না হোক বিভিন্ন উপায়ে খাজনা বা ট্যাক্স আদায়ের মাধ্যমে সরকারকে এই ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হয় এবং হবে। আমাদের দেশে ট্যাক্স দেয়া মানুষের সংখ্যা নিতান্তই কম, লাখের ঘরে। এর মাধ্যমেই সরকার পরিচালনার পাশাপাশি উন্নয়ন কর্মকান্ড চালাতে হচ্ছে। এ অর্থে তা করা সম্ভব নয়। ফলে সরকারকে দেশের মানুষের উন্নয়নের কথা বলে বিদেশ থেকে ঋণ নিতে হয়। বাজেটের ঘাটতি পূরণ করতে হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, যে উন্নয়নের কথা বলে এই ঋণ নেয়া হচ্ছে, দরিদ্র মানুষ তার সুফল কতটা পাচ্ছে? আমরা দেখছি, অনেক মানুষ যাদের অঢেল রয়েছে, তারাই কেবল এ সুবিধা পাচ্ছে। দেশের অর্ধেক মানুষ দরিদ্র হয়ে গেলেও তাদের শনৈশনৈ উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, দেশের ব্যাংকগুলোতে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে, এমন মানুষের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৮৩৯ জন। তবে এটা শুধু এক কোটি টাকার মালিকের সংখ্যা। এর বাইরে যে দুই থেকে শত কোটি টাকার মালিক রয়েছে, তা বলা বাহুল্য। এই যে, দেশ থেকে বিগত সাত বছরে ৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, এ হিসাবটি ধরা হচ্ছে না। এর সাথে কিছু মানুষ জড়িত। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, যে দেশের জনসংখ্যার অর্ধেক দরিদ্র, সে দেশ থেকে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ অর্থের মধ্যে কি এসব দরিদ্র মানুষের আয় এবং ঋণের অর্থ নেই? নিশ্চয়ই আছে। সরকার কেন এই অর্থ পাচার ঠেকাতে পারছে না? এত অর্থ যদি বিদেশে চলে যায়, তবে দেশের উন্নতি হচ্ছে কিভাবে? আবার বলা হয়, দেশের মোট সম্পদের ৯০ ভাগের বেশি শতকরা ৫ ভাগ মানুষের হাতে। এ হিসাব থেকে বুঝতে অসুবিধা হয় না, দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা কি? তারা কি মধ্যম আয়ের মানুষে পরিণত হচ্ছে? যেখানে জনসংখ্যার অর্ধেক দরিদ্র, কোনো রকমে টানাপড়েনের মাঝে জীবনযাপন করছে, সেখানে মধ্যম আয়ে পরিণত হওয়ার বিষয়টি তো অতি দূরের পথ। এমন যদি হতো, তারা দারিদ্র্যসীমা অতিক্রম করে মৌলিক চাহিদা মিটিয়ে জীবনযাপন করতে পারছে, তাহলে সেই অবস্থান থেকে মধ্যম আয়ের স্বপ্ন দেখা যৌক্তিক হতো। যাদের দিন আন্তে পান্তা ফুরায় এমন বিপুল সংখ্যক মানুষের বোঝা নিয়ে উন্নয়নশীল বা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া কি সম্ভব? এই যে, করোনার কারণে মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে, তারা কি সহসা আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারবে? পারলেও কি মধ্যম আয়ের সীমায় পৌঁছতে পারবে? পৌঁছতে হলে তো আলাদিনের চেরাগ লাগবে। উন্নতির এই চেরাগ পাওয়া কি এত সহজ? সরকারের হাতে কি এই চেরাগ আছে? যে সরকার মানুষের এই শোচনীয় অবস্থার কথা চিন্তা এবং ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়া বিবেচনা করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামই তাদের নাগালের মধ্যে রাখতে পারছে না, সেখানে কি উন্নয়নের বুলি আওড়ানো শোভা পায়?
তিন.
স্বাধীনতার পর ভঙ্গুর অর্থনীতিকে কটাক্ষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে ‘বটমলেস বাস্কেট’ বলেছিলেন। তার এ মন্তব্য ছিল আমাদের জন্য অত্যন্ত অসম্মানজনক। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে এসে সে অবস্থা থেকে আমরা অনেক এগিয়েছি। তবে আমরা কি বাস্কেটের নিচে বটম লাগাতে পেরেছি? সরকার একটি শ্রেণীর উন্নতিকে বাংলাদেশের সার্বিক উন্নতি হিসেবে দেখছে। এই শ্রেণীটি সরকারের সুবিধাভোগী। এর মধ্যে সরকারি চাকরিজীবীসহ ক্ষমতাসীন দলের লোকজন ও ব্যবসায়ী রয়েছে। কয়েক দিন আগে একটি দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, কানাডায় বেগমপাড়া বলে যে এলাকা রয়েছে, তার প্রায় শতকরা আশি ভাগই সরকারি কর্মকর্তাদের। এছাড়া ব্যবসায়ীসহ অন্যরা রয়েছে। মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম যারা করেছেন তারাও ঐ একই সুবিধাভুগী শ্রেণী। তারা দেশের অর্থ পাচার করে বিদেশে গিয়ে বাসা বেঁধেছে। বিদেশীরাও বাংলাদেশী এসব ধনকুবেরকে দেখে মনে করছে, বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে। সরকারও এসব ধনকুবেরদের কিছু বলে না। কারণ, সরকারের আচরণে প্রতীয়মান হয়, এসব ধনকুবেরই সরকারের উন্নয়নের প্রতিনিধিত্ব করছে। তবে বাংলাদেশের এসব ধনকুবের দেখে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদদের কাউকে কাউকে এমন মন্তব্য করতেও দেখা গেছে, ‘রিচ পিপল অফ পুওর কান্ট্রি’ বা গরিব দেশের বড়লোক। তাদের এই এক মন্তব্য থেকেই বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির চিত্র ফুটে উঠে। সরকারের উন্নতির শ্লোগানের আরেকটি দিক হচ্ছে, পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বড় বড় মেগা প্রকল্প। এগুলোর নির্মাণযজ্ঞ দেখিয়ে বলা হচ্ছে, আমরা উন্নতি করছি। কিছু মানুষের অগাধ ধনসম্পদ এবং মেগা প্রকল্পের উন্নতিই সরকারের কাছে পুরো দেশের উন্নতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অথচ দেশের অর্ধেক মানুষ যে দরিদ্র অবস্থায় রয়েছে, এ বিষয়টি বিবেচনায় নিচ্ছে না। দেশের একটি শ্রেণীর উন্নয়নই সরকারের কাছে উন্নতির মাপকাঠি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের সুবিধা নিয়ে কিংবা লুটপাট করে বড়লোক হওয়া এই শ্রেণীই যেন দেশের উন্নয়নের স্মারক। এ কথা মানতেই হবে, দেশের সাধারণ মানুষ অনেক পরিশ্রম করে উন্নতির একটা পর্যায়ে গিয়েছিল। তাদের উন্নতির ফসল খেয়ে ফেলেছে সরকারের প্রশ্রয়প্রাপ্ত ঐ শ্রেণীটি যারা ব্যাংক লুটপাট এবং বিদেশে অর্থপাচার করছে। সরকার এই লুটপাট ও অর্থপাচার ঠেকাতে পারেনি বা ঠেকানোর ব্যবস্থা নেয়নি। এই যে, নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার লাগামহীন হয়ে রয়েছে, সিন্ডিকেট ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেটের অর্থ লুটে নিচ্ছে, এ ব্যাপারে সরকার কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। বরং এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে, সরকার যেন তার ছত্রছায়ায় থাকা সুবিধাভুগীদের অর্থ লুটের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ বাঁচল কি মরল, কিভাবে জীবনযাপন করছে, তা বিবেচ্য নয়। দেশের অর্ধেক মানুষ দরিদ্র হয়ে গেলেও, এ নিয়ে সরকারের মধ্যে কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আছে বলে মনে হয় না। করোনার সময় শুধু আড়াই হাজার টাকা করে পঞ্চাশ লাখ মানুষকে সহায়তা দিয়েই যেন আত্মতৃপ্তি লাভ করছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, সাধারণ মানুষের এই দুঃখ-দুর্দশার কথা বলার মতো কেউ নেই। তারা যে বলবে, সেই প্ল্যাটফর্মও নেই। বিরোধী যেসব রাজনৈতিক দল রয়েছে, তারা জনগণের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে কোনো কথা বলছে না। দেশের সার্বিক অর্থনীতির কি অবস্থা তার চিত্র তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় না।
চার.
সরকারের কথা অনুযায়ী, দেশের অর্থনীতি যদি মজবুত হয়ে থাকে এবং উন্নতি হচ্ছে, তাহলে এক লাফে দেশের অর্ধেক জনসংখ্যা দরিদ্র হয়ে যেত না। সরকার বলতে পারে করোনার ধাক্কায় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটা মেনে নিয়েও বলা যায়, অর্থনীতির ভিত্তি মজবুত হলে তা ক্ষয় হতেও সময় লাগে। অর্থনীতির ভিত্তিটি যে তৃণমূল পর্যন্ত সুদৃঢ় হয়নি, তা করোনার ধাক্কা থেকে বোঝা যায়। অর্থনীতিকে মজবুত করতে হলে সাধারণত তাকে পিরামিডের আকার দিতে হয়। ভূমি থেকে উঁচু হয়ে উপরের দিকে চোঙ্গাকৃতির রূপ দিতে হয়। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের উন্নতি হতে হতে তা ধনিক শ্রেণী পর্যন্ত গিয়ে ঠেকবে। আমাদের দেশে হচ্ছে উল্টো। সাধারণ মানুষ গরিব থেকে গরিব হচ্ছে, ধনিক শ্রেণী আরও ধনী হচ্ছে। অর্থনীতি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান আকাশ-পাতাল হচ্ছে। অর্থনৈতিক সুশাসন ও ভারসাম্য বলতে কিছু নেই।
darpan.journalist@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন