করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সরকার দেশে কঠোর লকডাউন জারি করেছে। একইসঙ্গে অতি জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন পিরোজপুরের নাজিরপুরের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভালো নেই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। গতকাল শনিবার এমন দুঃখ প্রকাশ করেন উপজেলার ব্যবসায়ীরা। নাজিরপুরের থানার পাশের মুদি দোকান মো. রাকিবুল ইসলাম জানান, সরকারের এ লকডাউনের কারণে আদায় হচ্ছে না চৈত্র মাসের বাকেয়া টাকা এবং আমিও দিতে পারছি না মোকামের বকেয়া টাকা।
বর্তমানে খুবই কষ্টে জীবন-যাপন করছি। খুব খারাপ সময় পার করছি। পুরাতন পূবালী ব্যাংকের সামনের কম্পিউটার অ্যান্ড ফটোকপির দোকান মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি ক্ষুদ্র ব্যবসা করি তাও এই লকডাউনের কারণে খুলতে পারছি না দোকান। এভাবে লকডাউন থাকলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে দিন পার করতে হবে। কালীবাড়ী রোড চায়ের দোকান মো. শহীদ জানান, আমি দিনে ৩০০-৪০০ টাকা ইনকাম করতাম। তাই দিয়ে কোনোমতে চলতাম। এই লকডাউনের কারণে দোকান বন্ধ থাকায় না খেয়ে থাকতে হবে। তিনি সরকারের কাছে সহায়তা করার দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে নাজিরপুর সদর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. পান্নু ফরাজী জানান, এ লকডাউনের কারণে আমিও খুব অসহায় জীবন-যাপন করছি। আর আমার বাজারের ব্যবসায়ীরা ও চরম অসহায় হয়ে পরছে। বিশেষ করে চায়ের দোকান যাদের, তাদের অনুনয়-বিনয় শুনতে হয় প্রতিনিয়ত আমরা কিভাবে বেঁচে থাকব। তিনি সরকারের কাছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য প্রণোদনার দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন