বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

এবার বোরোতে উৎপাদনের রেকর্ড, ২ কোটি ৭ লাখ মেট্রিক টন চাল

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২১, ৩:৫৪ পিএম

চলতি মৌসুমে বোরোতে সর্বোচ্চ ফলন হওয়ায় চাল উৎপাদন হয়েছে ২ কোটি ৭লাখ মেট্রিক টন চাল। দৈনিক ইনকিলাবকে এই তথ্য জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ। তার দাবি, স্মরণকালে এটি উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড। আগে আউশ, আমর ও বোরো এই তনি মৌসুমে ২কোটি মেট্রিক টনের মতো চাল উৎপাদন হতো। এখন ইনশাআল্লাহ এক মৌসুমেই তোটি মেট্রিক টনের অধিক চাল উৎপাদন হলো। এতে করোনাকালেও খাদ্য নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ দৃষ্টি, সরকারি প্রণোদনা, উন্নতমানের বীজ সরবরাহ সর্বোপরি আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরোতে স্মলণকালের সর্বোচ্চ রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে।

বোরো মৌসুমের মুরুতে শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে কর্মবীর কৃষকরা মাঠে মাঠে বোরো ধানের চারা রোপন করেন। বরাবরই কর্মবীর কৃষকরা প্রাণশক্তিতে উদ্বেল। মাটি ওলোট-পালট করে সোনা ফলিয়ে থাকেন। ঘুরিয়ে থাকেন কৃষিনির্ভর অর্থনীতির চাকা। তৃণমূল অর্থনীতির কাঠামো মজবুতের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতেও তাদের অবদান কম নয়। বিশেষ করে ভয়াবহ করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করে মাঠে মাঠে যে পরিশ্রম করেছেন কৃষকরা তার ফল পেয়েছেন তারা।

সারাদেশের কোথাও বোরো বীজতলা কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হয়নি। আবহাওয়া ছিল অনুকুলে। তাছাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের বিশেষ নজরদারি, কৃষকদের সমস্যা সমাধান, সার্বক্ষণিক তদারকিসহ বিভিন্ন কারণে রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে বলে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান। সূত্র জানায়, এবার সারাদেশে ৪৮লাখ ৫ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। সেচনির্ভর বোরো ধান আবাদের ক্ষেত্রে এবার কোনরূপ অসুবিধা হয়নি। স্বাচ্ছন্দ্য অনায়াস উদ্দীপনা ও উদ্যম নিয়ে বোরো চাষীরা মাঠে মাঠে আবাদ করার সুযোগ পেয়েছেন। সেচনির্ভর বোরো ধান আবাদের ক্ষেত্রে কোনরূপ অসুবিধা হয়নি। স্বাচ্ছন্দ্য অনায়াস উদ্দীপনা ও উদ্যম নিয়ে মাঠে মাঠে বোরো চাষীরা রীতিমতো বিপ্লব ঘটান।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সারা দেশে প্রায় ১৪ লাখ ডিজেলচালিত ও প্রায় আড়াই লাখ বিদ্যুৎচালিত গভীর ও অগভীর নলকুপ ব্যবহার হয়। ধানের দাম গত মৌসুমে ভালো পাওয়ায় কৃষকরা ধান আবাদে দারুণভাবে ঝুকে পড়েন। এখন বাজারে পুরাদমে নতুন ধান বেচাকেনা হচ্ছে। দামও পাচ্ছেন ভালো। মণপ্রতি গড়ে এক হাজার টাকা। তাতে তাদের লাভই হচ্ছে। গতকাল ধানের পাইকারি বাজার যশোরের রূপদিয়ায় গিয়ে দেখা গেছে, ধানের বাজারে উপচেপড়া ভিড়। ধান বিক্রিতে ব্যস্ত কৃষকরা। তাদের চোখেমুখে আশার ঝিলিক।

কৃষক যশোরের ডাকাতিয়া গ্রামের আব্দুল মান্নান জানালেন, কয়েকবছর ধানের দাম না পাওয়ায় আবাদে অনাগ্রহী হন কৃষকরা। গত মৌসুম থেকে আবার ধান আবাদে প্রচন্ড আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Ahmed hossain khan ৫ জুন, ২০২১, ৪:২১ পিএম says : 0
Masa Allah. Deser ak inchi jomi jeno onabadi na takhe . Je somosto jomir malikera chasabad korenna unara jeno onnoke chasabad korar sujug dea desher unnoion a vumika rakhen. Donnobad amar kormobir krisok vai bunder.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন