গত ১২ অক্টোবর চিত্রনায়ক ফেরদৌস রাতে নারায়ণগঞ্জের আমলাপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে গিয়ে পূজা মন্ডপে ভক্তদের সঙ্গে তিনি নেচেছেন। তার নাচ ও বক্তব্য উপস্থিত দর্শনার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এসময় তার সহপাঠী ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়াও তার নাচ উপভোগ করেন। ফেরদৌস বলেন, চাষাঢ়া এসেই আমি খুব ইমোশনাল হয়ে পড়েছি। আমি আমার সেই স্মৃতিতে চলে গিয়েছিলাম। আমার বিশ্বাসই হচ্ছিল না, আমি আজকে নারায়ণগঞ্জ আসবো। আমার বন্ধু ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়াকে ধন্যবাদ। আসলে ও মাঝে মাঝে এমন সব কাজ করে যে, বিস্মিত হয়ে যাই। যেমন আজ (১২ অক্টোবর) বলল তোকে একটা পূজায় নিয়ে যাবো। আমাকে বলেনি কোথায়। এখানে যে নিয়ে আসবে ভাবতে পারিনি। নারায়ণগঞ্জের স্মৃতিচারণ করে ফেরদৌস বলেন, আমলাপাড়া নারায়ণগঞ্জের সে জায়গা যেখানে আজ থেকে অনেক বছর আগে আসতাম। নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুলে এক বছর পড়েছি। এই জায়গাগুলো আমার ভীষণ পরিচিত। দুর্ভাগ্যবশত আমি নারায়ণগঞ্জ থেকে চলে যাওয়ার পর আর কোনদিন এখানে আসা হয়নি। আজকে এই পূজায় এসে আমার ভীষণ আনন্দ লেগেছে। তিনি বলেন, আমার অত্যন্ত প্রাণের এ শহর। আমার বেড়ে ওঠার সঙ্গে আজকে আমি ফেরদৌস হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে এই শহর। কারণ শিল্প সংস্কৃতির দিক দিয়ে নারায়ণগঞ্জ অনেক ধনী। নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভীষণ সংস্কৃতমনা। আমি নিজেও ছোটবেলায় বুঝতাম না হিন্দু, মুসলমানের কী তফাৎ। ঈদে আমার হিন্দু বন্ধুরা আমাদের বাড়িতে আসত, পূজায় আমরা তাদের বাড়ি যেতাম। আমরা বিশ্বাস করি, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। এদিকে করোনাকালেও অভিনয়ে নিয়মিত ফেরদৌস। বর্তমানে তার হাতে আটটি সিনেমা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে তিনটি সিনেমার কাজ শেষ করেছেন। সিনেমাগুলো হলো, জি এম ফারুকের ‘যদি আরেকটু সময় পেতাম’, মাহমুদ দিদারের ‘বিউটি সার্কাস’ এবং এখলাস আবেদিনের ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন