লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ রয়েছে।(আজ) শনিবার বিকেলে উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুকবুল মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় আহত মো. আনোয়ার হোসেন(৩৮) মা বিবি আমেনা বেগম(৬০) ও ভাতিজি জান্নাত বেগমকে(২১) প্রথমে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতিতে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহত জেসমিন আক্তার ও মো. আরিফকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার সকালে কমলনগর থানায় আনোয়ারের ভাবি জেসমিন আক্তার বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, চরলরেন্স এলাকার মুকবুল মাঝি বাড়িতে সাড়ে ৩ একর জমি নিয়ে আনোয়ারদের সাথে চাচা আব্দুল আলীর দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। ঘটনার দিন সকালে আনোয়ার তার ঘরের পাশে শ্রমিক দিয়ে একটি নারিকেল গাছ কাটার চেষ্টা করে। এতে আনোয়ারের চাচা আব্দুল আলী (৬০)তার দুই মেয়ে মুন্নি আক্তার(৩০), জুটি বেগম(২৬) শ্রমিক আরিফ, মা আমেনা ভাতিজি জান্নাতের উপর হামলা চালায়। এতে লোহার রড ও ছেনি দিয়ে এলোপাতাড়ি তাদের পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। পরে ভাতিজা আনোয়ারকে ঘর থেকে বের করে এলোপাতাড়ি ছেনি দিয়ে কুপি হত্যার চেষ্টা চালায় । পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
মামলার বাদি জেসমিন আক্তার জানান, তার স্বশুর অনেক আগে মারা যান। তাদের দুই ভাইয়ের জায়গা-জমি ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে দীর্ঘ দিন থেকে দ্বন্ধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন একটি নারিকেল গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আমার চাচা স্বশুর তার মেয়েরা লোহার রড ও ছেনি দিয়ে প্রথমে আমার শাশুড়ী, মেয়ে ও আমার দেবরকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।
এদিকে আব্দুল আলী দাবি করে বলেন, আমার জায়গা থেকে তারা নারিকেল গাছ কাটার চেষ্টা করলে আমরা বাধা দেই। এতে প্রতিপক্ষ ক্ষুব্ধ হয়ে আমার মেয়ে, স্ত্রী ও আমাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। তারাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে তিনি জানান।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন