ভোলার চরফ্যাশনে মো. ইদ্রিস মাঝি (৪২) নামের যুবদল নেতা ও ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে একদল সন্ত্রাসী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এসময় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠা হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে চরফ্যাশন উপজেলার চর মাদ্রাজ ইউনিয়নের চর আফজাল গ্রামের খাস পুকুর পাড়ের চৌমাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুরুত্ব আহত মো. ইদ্রিস মাঝি উপজেলার চরমাদ্রাজ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের চর আফজাল গ্রামের মৃত ওয়াজউদ্দিন মাঝির ছেলে।
গুরুতর আহত ইদ্রিস মাঝির স্বজনেরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা রাকিব মোল্লার সাথে বিএনপি-আ’লীগ নিয়ে ব্যবসায়ী যুবদল নেতা বেল্লাল ও ইদ্রিস মাঝির সাথে কথার কাটাকাাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাকিব বেল্লাল ও ইদ্রিস মাঝিকে মারতে উত্তেজিত হলে এলাকাবাসী রাকিবকে বুঝিয়ে পাঠিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর রাকিব মাদ্রাজ ইউনিয়নের উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রহমান সর্দারকে নিয়ে আসেন ঘটনাস্থলে। তিনি এসে ব্যবসায়ী বেল্লাল ও ইদ্রিস মাঝিকে হুমকি-ধামকি দিয়ে বুধবার থেকে দোকান খুলতে নিষেধ করেন দেন।
বুধবার সকালে তারা দোকান খুলে বেচাকেনা করছিলে হঠাৎ ১০ টার দিকে স্থানীয় শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুর রহমান সর্দারের নেতৃত্বে তার ছেলে ফিরোজ ও রাকিব মোল্লাসহ ৮/১০ সন্ত্রাসী বেল্লাল ও ইদ্রিস মাঝির দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ী ইদ্রিস মাঝিকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। এবং তার দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করে টাকা পয়সা নিয়ে যান।
স্থানীয়রা ও তার স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত উপজেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি ও চরমাদ্রাজ ১ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আবদুর রহমান সর্দার বলেন, মঙ্গলবার রাতে টিভিতে আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা রাকিবের সাথে যুবদল নেতা বেল্লাল ও ইদ্রিস মাঝির সাথে কথার কাটাকাটির এক পর্যায় রাকিবের উপর হামলার উদ্দেশ্যে তাকে দৌড়ে নিয়ে বাড়িতে উঠান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার সকালে চরফ্যাশন থেকে ছাত্রলীগের পোলাপান এসেছে, পরে কি হয়েছে আমার জানা নাই। এখানে তো মনে করেন কিছু হলে আমার এলাকা রাজনীতি করি এলাকায় আমার কথা তো বলবোই।
এ ঘটনায় চরফ্যাশন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোরাদ হোসেন বলেন, লোকমুখে ঘটনা শুনেছি। আমরাও খোঁজ খবর নিচ্ছি। এ ঘটনায় ভিক্টিমের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অপরদিকে যুবদল নেতা ও ব্যবসায়ী ইদ্রিস মাঝির আহত হওয়ার খবর পেয়ে বরিশালে ছুটে আসেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন। এসময় তিনি ইদ্রিস মাঝির সকল প্রকার খোজ-খবর নেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনি ইদ্রিস মাঝিকে সকল প্রকার সাহায্য-সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন