রাজশাহীতে বাড়ি নির্মাণকাজের জন্য দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ার কারণে জাহিদুল ইসলাম জাহিদ নামের এক আইনজীবীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। শনিবার (২১ জানুয়ারি) রাতে মহানগরীর ডিঙ্গাডোবা ঘোষমহাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিবেশীরা ফরহাদ নামের একজনকে ধাওয়া দিয়ে আটক করেন এবং পরে তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়।
আহত আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনজীবী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ডিঙ্গাডোবা ঘোষমহাল এলাকায় তাদের বাসার দ্বিতীয় তলার নির্মাণকাজ চলছে। বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু হলেই এলাকার রিকু, রকি, আনোয়ার ও নাজমুল এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাঁরা কাজে বাধা দিচ্ছিল। পরে তাঁরা শ্রমিকদের হুমকি দিতে শুরু করে। চাঁদা না দেওয়ায় শেষপর্যন্ত তাঁরা রড, সিমেন্টে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে চাঁদার টাকা তোলা হবে বলে হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, এরপর গত ১৮ জানুয়ারি রাতে এই চাঁদাবাজেরা বাড়ির সীমানা প্রাচীর টপকে ছাদে ওঠে। এরপর সেখানে থাকা প্রায় এক টন রড নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ১৯ জানুয়ারি রাজপাড়া থানায় একটি মামলা করি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার রাত ৮টার দিকে আবারও তাঁরা ছাদে উঠে রড নিয়ে যেতে শুরু করে। এ সময় প্রতিবেশীদের ধাওয়ায় ফরহাদ নামের একজন ধরা পড়ে। এ ঘটনার আধা ঘণ্টা পরে আনোয়ারের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন আমার বাড়ির সামনে আসেন। আমাকে বেধড়ক পেটানো হয়। অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। এ সময় ৯৯৯-এ কল দিলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডিঙ্গাডোবা ঘোষমহাল, পার্শ্ববর্তী দাশ পুকুর, বহরমপুর এবং ব্যাংক কলোনি এলাকায় কেউ বাড়ি নির্মাণ করতে গেলেই একটি চাঁদাবাজ চক্রকে টাকা দিতে হয়। চাঁদা না দিলে নির্যাতন করা হয়। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পান না। এই চাঁদাবাজ গ্রুপটির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা এবং সেবনেরও অভিযোগ রয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মহানগরীর বিভিন্ন থানায় হাফ ডজন করে মামলা রয়েছে।
এ ব্যাপারে নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএসএম সিদ্দিকুর রহমান বলেন, রড নিয়ে যাওয়ার পর আইনজীবী জাহিদ একটি মামলা করেছেন। এর মধ্যে একজন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।##
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন