রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ভাঙছে যমুনা কাঁদছে মানুষ

| প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

টি এম কামাল, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে : বন্যার দুর্ভোগ নয়, বরং ভাঙনের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরবাসী। গত ৪২ বছরে কাজিপুরকে রক্ষায় শত শত কোটি টাকা খরচ করা হলেও আগ্রাসী যমুনার পশ্চিম পাড়ের ভাঙন থামানো সম্ভব হয়নি। ১০০ বছরের স্থায়িত্বকাল নির্ধারণ করে নির্মিত যমুনা নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধে সম্প্রতি ধস নামায় এমন আশঙ্কা এখন কাজিপুরবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। মূলত এই নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধ নির্মাণের পর থেকেই ভাঙনে বিপর্যস্ত কাজিপুরে ক্রমেই বহুতল ভবনসহ সুদৃশ্য বিপণিবিতানগুলো গড়ে উঠতে থাকে। কিন্তু নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধ ধসের কারণে এলাকার এসব ভবন মালিকও আর স্বস্তিতে নেই। এদিকে, ধসে পড়া বাঁধের অংশটুকুজুড়ে সিসি ব্লাক, জিও ব্যাগ বালির বস্তা এখনও ফেলাচ্ছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংশিষ্ট দফতর থেকে বলা হচ্ছে, ধসে পড়া অংশটুকু বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু এমন বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারছে না কাজিপুরবাসী। এলাকাবাসীর ধারণা, টানা বৃষ্টিপাত কিংবা যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছলে এই স্থানটি আর নিরাপদ থাকবে না। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত মেঘাই এলাকায় যমুনা নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধের পাকা স্থাপনার ৭০ মিটার ভেঙে যাওয়ায় মূলত তা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। আর এই অংশের সামান্য দূরেই রয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। যদি কোনোভাবে ধসে পড়া বাঁধের এই অংশ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সঙ্গে মিশে যায়, তাহলে তা কাজিপুরবাসীর জন্য বিপর্যয় ডেকে আনবে। এমন আশঙ্কা এখন কাজিপুর উপজেলাবাসীকে উদ্বিগ্ন করে রেখেছে। কাজিপুরের উত্তরের মাইজবাড়ী থেকে দক্ষিণে শুভগাছা ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর দিয়ে বালু বোঝাই ট্রাক চলাচল করায় বিভিন্ন স্থানে ভেঙে গেছে। এ কারণেও এলাকাবাসী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। কাজিপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান টি এম আতিকুর রহমান নান্নু মাস্টার মেঘাই এলাকায় যমুনা নদীতীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস নামার ও দক্ষিণ এলাকায় ভাঙনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন