শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

জনতা ব্যাংকের আরও এক খেলাপি গ্রেফতার

ঋণের আংশিক পরিশোধের পর অপর খেলাপির জামিন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:২৫ পিএম

সরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যেসব গ্রাহক এতদিন ভেবেছিলেন নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করেও পার পাওয়া যাবে। এসব গ্রাহকের বিরুদ্ধে এবার কঠোর অবস্থান নিয়েছে রাষ্ট্র মালিকানাধীন জনতা ব্যাংক লিমিটেড। এ ধরনের ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিদের কাছ থেকে ঋনের অর্থ ফেরত পেতে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে ব্যাংকটি। এর ফলে জনতা ব্যাংকের বেশ কিছু আলোচিত খেলাপি গ্রাহক সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন। সর্বশেষ জনতা ব্যাংকের জামালপুর স্টেশন রোড শাখার একজন পলাতক খেলাপি গ্রাহককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া উত্তরা মডেল টাউন করপোরেট শাখার গ্রেফতারকৃত এক খেলাপির কাছ থেকে ঋণের ২৫ শতাংশ পরিশোধ সাপেক্ষে অন্তবর্তী জামিন দিয়েছে আদালত।
পুলিশ ও ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, জনতা ব্যাংক জামালপুর স্টেশন রোড কর্পোরেট শাখার গ্রাহক মো. মাহবুব সরকার ২০১৪ সালে নিজ প্রতিষ্ঠান সউদী স্যানেটারির নামে ঋন নেন। এরপর তিনি আর ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেননি। ব্যাংকের শাখা থেকে বার বার যোগাযোগ করলেও তিনি কোন সাড়া দেননি। ঋন পরিশোধে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তিনি এড়িয়ে চলছিলেন। পরে জামালপুর অর্থঋণ আদালতে এ বিষয়ে মামলা (নং ০১/১৭) করে ব্যাংক। আদালত ঋনের নথি পর্যালোচনা করে আসামিকে ৬ মাসের কারা দ-সহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এদিকে মামলার আসামি গ্রেফতার এড়িয়ে পালিয়ে কুমিল্লায় আত্মগোপন করেন। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থন নিশ্চিত হয়ে অবশেষে গত সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর আসামি মাহবুব সরকারকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালত আগের রায় বহাল রেখে খেলাপি আসামিকে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
অপরদিকে জনতা ব্যাংক উত্তরা মডেল টাউন কর্পোরেট শাখার গ্রাহক সৈয়দা আঞ্জুমান আরা বেগম ২০০৯ সালে মেসার্স সুরমা ফেব্রিক্স এর নামে ঋণ নিয়ে আর পরিশোধ করেননি। সর্বশেষ ৫২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৭৫২ টাকা আদায়ের লক্ষে ঢাকার অর্থঋণ আদালতে মামলা (নং ৪১৩/২০) করে ব্যাংক। ঋণের নথি পর্যালোচনার পর আদালত আসামিকে ৫ মাসের কারাদন্ডসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে উপস্থিত করা হলে গত ৮ আগস্ট আদালত আসামিকে কাশিমপুর কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। একমাস কারাভোগের পর আসামি সৈয়দা আঞ্জুমান আরা বেগম গত ৮ সেপ্টেম্বর দাবিকৃত ঋণের ২৫ ভাগ ১৩ লক্ষ ১৮ হাজার ৯৩৮ টাকা পে অর্ডারের মাধ্যমে আদালতে জমা করেন। এ প্রেক্ষিতে আদালত আসামিকে ৯০ দিনের অন্তবর্তী জামিন মঞ্জুর করেন। গত বুধবার ১৪ সেপ্টেম্বর পে-অর্ডারের অর্থ ঋন হিসাবে নগদায়ন করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে এ ব্যাপারে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এন্ড সিইও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার বিষয়ে আমরা অত্যন্ত আন্তরিক। এজন্য যেসব খেলাপি গ্রাহক দীর্ঘ সময় ধরে ঋণ পরিশোধে সময় ক্ষেপন করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু দৃষ্টান্ত সবাই দেখতে পেয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন