শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্যবসা বাণিজ্য

ব্যবসা-বিনিয়োগে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:০২ পিএম

তুরস্ক সফররত ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘তুরস্ক-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

স্থানীয় সময় বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্সের কার্যালয়ে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা বৃদ্ধি নিয়ে এই সভা হয়। ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের নেতৃত্বে ৮৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদলর সঙ্গে বর্তমানে তুরস্ক সফরে রয়েছেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে তুরস্ক চেম্বারের নির্বাহী কমিটির সদস্য বুরহান পোলাত বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। তিনি উল্লেখ করেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। কারণ ব্যবসা ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরে দেশটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে।

বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়নে বাজার সম্প্রসারণের পাশাপাশি রফতানিমুখী পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর জোর দিয়ে বোরহান পোলাত বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের জন্য তুরস্ক একটি অপার সম্ভাবনাময় বাজার হতে পারে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ চামড়া, ওষুধ, তৈরি পোশাক ও হালকা প্রকৌশল শিল্পে আশাব্যঞ্জক উন্নতি সাধন করতে পেরেছে। এছাড়া ও তিনি দুদেশের বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করার আহ্বান জানান।

দুই দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন। ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্স প্রায় ৬ লক্ষাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্বলিত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন। বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের এ দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণে ইস্তাম্বুল চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান তাঁর বক্তব্যে বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ও তুরস্কের দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৮৭১.৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যদিও দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য বাংলাদেশের অনুকূলে রয়েছে তবে তা তরান্বিত করার জন্য দুই দেশের উদ্যোক্তাদের আরও বেশি হারে বিনিয়োগে উৎসাহিত হতে হবে। কারণ বর্তমান বাণিজ্যের পরিমাণ মোটেও সন্তোষজনক নয়। তুরস্ক বাংলাদেশের জন্য ২৩তম বৃহৎ রফতানি গন্তব্যস্থল।

বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগকারী দেশসমূহের মধ্যে তুরস্ক ২৯তম বৃহত্তম দেশ যে দেশের উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে ইতোমধ্যে ৩০.৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে। তিনি উল্লেখ করেন ডি-৮ ভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে কার্যকর অর্থনৈতিক যোগাযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ ও তুরস্ক যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।

বাংলাদেশের শিল্পখাতের আধুনিকায়নে তুরস্কের প্রযুক্তি সহায়তা প্রদান, এসএমই খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, যৌথ গবেষণা কার্যক্রম এবং এগ্রো ভেলু চেইনের উন্নয়নে তুরস্ককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান রিজওয়ান রাহমান।

বিজনেস ফোরাম শেষে ঢাকা চেম্বারের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইস্তাম্বুল চেম্বারের প্রায় ৩৫০টির বেশি সদস্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার বিটুবি ম্যাচ-মেকিং অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে দুদেশের উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ সম্ভাবনা, বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেন।

বি টু বি সেশনে অংশগ্রহণকারী তুরস্কের উদ্যোক্তাবৃন্দ বাংলাদেশে বিনিয়োগের ইতিবাচক আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়াও ইস্তাম্বুল চেম্বারের সভাপতি সেকিব এভডাচিভ এবং ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন