দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় দিনে-রাতে ঘটছে চুরির ঘটনা। শত সাবধানতা অবলম্বনের পরেও চোরের আতঙ্ক বিরাজ করছে দেওয়ানগঞ্জবাসীর মাঝে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নসহ পৌর এলাকার নির্বাহী এলাকা, গাবতলী, বটতলা বাজারের চারপাশ, সুগারমিল কলোনী, সরকার পাড়া, দাসপাড়া, চর-ভবসুর পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ায় সবচেয়ে বেশি চুরির ঘটনা ঘটে আসছে। সরকারপাড়া এলাকার শাহীন মিয়া জানান, আমার বাড়ি থেকে একই দিনে দুইটি টিউবওয়েল চুরি হয়েছে। এমনকি এই এলাকায় আরও বিশ বাড়ি থেকে বিশটি টিউবওয়েল হারিয়েছে। পূর্ব রামপুরা গ্রামের মনোয়ার হোসেনের বাড়ির তালা ভেঙে সোনা, নগদ টাকা, মোবাইল ফোনসহ প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার পণ্য সামগ্রী নিয়ে গেছে চোর। চুরির ঘটনাটি দেওয়ানগঞ্জ থানা পুলিশ তদন্ত করেছে। একই গ্রামের মাহাবুবুর রহমান জানান, আমার থাকার ঘরে চোর প্রবেশ করতে না পেরে রান্না ঘরের সমস্ত আসবাবপত্র চুরি করেছে। পাশ^বর্তী নির্বাহী এলাকার ইকরামুল হকের বাড়িতেও রান্না ঘড় থেকে আসবাবপত্র চুরি হয়েছে। গুজিমারি গ্রামের রুহেল মিয়া (৪৫) তার বাড়ির ওঠানে অটোরিকশা চার্জে দিয়েছিলো, সেখান থেকেও রিকশার ব্যাটারি চুরি হয়েছে। চুরি হচ্ছে গৃহপালিত পাখি কবুতর। শরীফপাড়ার মিজানুর রহমান জানান, আমার বাড়িতে প্রতি মাসে দুই তিন বার কবুতর চুরি হয়। আমি কবুতর পালন বাদ দিবো সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শুধু রাতে নয় দিনেও দরজা-জানালা ভেঙে, গ্রিল কেটে, তালা ভেঙে, চুরির ঘটনা ঘটিয়ে আসছে চোরেরা। কোন চোরকে হাতেনাতে ধরতে না পারায় চিহ্নিত করা যায়নি, কে বা কারা ঘটনানাগুলো ঘটিয়ে আসছে। ইতোমধ্যে চুরি ঠেকাতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ কালিতলা বাজার, গাবতলী মোড় ও সুগারমিল বাজার সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি শ্যামল চন্দ্র ধর জানান, চুরির ঘটনা রোধ করতে পুলিশি টহল ব্যাবস্থা দ্বিগুন করা হয়েছে। সেই সাথে চুরির ঘটনা সম্প‚র্ণভাবে নিমূল করা হবে বলে দেওয়ানগঞ্জবাসীকে আশ^স্ত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন