বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আদিগন্ত

মেডিক্যাল শিক্ষাকে আধুনিক করা আবশ্যক

| প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সরদার সিরাজ : বর্তমান বিশ্ব প্রতিদিনই আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক হচ্ছে এবং তা প্রতিটি ক্ষেত্রেই। মহাকাশ, গ্রহ-নক্ষত্র ইত্যাদিরও নাড়ি-নক্ষত্র পর্যন্ত এখন মানুষের নখদর্পণে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার কারণেও ইতোমধ্যে বহু শতকের অনেক ব্যাধি নির্মূল হয়েছে এবং অনেক ব্যাধির সুচিকিৎসা হচ্ছে। আবার নিত্য-নতুন ব্যাধিও সৃষ্টি হচ্ছে। যা নিরাময়ের চেষ্টা চলছে অবিরাম। ফলে কিছু ব্যাধির চিকিৎসা ব্যবস্থা আবিষ্কার হয়েছে। আর যেগুলোর হয়নি, তা নিয়ে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের এক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বিজ্ঞানী পরীক্ষামূলকভাবে অতি ক্ষুদ্র একটি রোবট আবিষ্কারে সফল হয়েছেন। উক্ত রোবট  ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর শরীরে ঢুকিয়ে দিলে রোবটটি সমগ্র শরীরে ঘুরে ঘুরে ক্যান্সার আক্রান্ত কোষ ধ্বংস করবে। কোনো অপারেশন কিংবা ওষুধ সেবন ছাড়াই রোগী ক্যান্সারমুক্ত হবে। যুক্তরাজ্যের সোয়ানসি ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা পরীক্ষামূলকভাবে আবিষ্কার করেছেন যে, কোন মানুষের আঙ্গুল থেকে একটু রক্ত নিয়ে পরীক্ষা করলেই দেখা যাবে আগামী ১০ বছরের মধ্যে তার ক্যান্সার হবে কি-না?  এতে ব্যয় হবে মাত্র ৩৫ পাউন্ড। পরীক্ষায় যদি দেখা যায় তার ক্যান্সার হবে,  তাহলে সার্জারি করলেই  তার আর ক্যান্সার হবে না। এসব পরীক্ষা সফল হয়ে বাজারজাত হলে মরণব্যাধি ক্যান্সার যাদুঘরে ঠাঁই নিবে।
মরণঘাতী এইডসেরও আতঙ্ক দূর হয়েছে প্রতিরোধ ও নিরাময়যোগ্য অনেক ওষুধ আবিষ্কার হওয়ায়। ভয়ঙ্কর জিকা ভাইরাসের ওষুধও আবিষ্কার হয়েছে। ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর ঝুঁকি তুলে  নিয়েছে চলতি বছরের গত ২২ নভেম্বর। এটা বিশ্বের জন্য এক বিরাট সুসংবাদ। অন্যদিকে, মানুষ কী চিন্তা করছেন তা মস্তিষ্ক থেকে উদ্ধার করার মেশিন তৈরি করার পরীক্ষা চলছে। এটা সফল হলে মানুষ কী চিন্তা করছে তার সবই প্রিন্ট হয়ে বের হবে। স্মার্ট বেল্ট শরীরে লাগালে শরীরের সব তথ্যই স্মার্টফোনে চলে আসবে। এটা তৈরি করেছে স্যামসাং। এই মোবাইলের মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা হলে ল্যাবরেটরিতে ব্যাধি পরীক্ষার করার ব্যয় অনেক কমে যাবে? কম্পিউটারে  চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। ব্যাধি নির্ণয় ও তার ওষুধ কী সে সংক্রান্ত সফটওয়্যারও তৈরি করা হচ্ছে। এটা সফল হলে চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও নির্ভুল হবে।
এছাড়া, হাত, পা, মুখ কাঁপা ব্যাধি, যা ‘ট্রেমর’ অর্থাৎ ‘কম্পন’ আক্রান্ত রোগীদের নানা  প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। এতদিন ওষুধ প্রয়োগ অথবা মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারই ছিল এর চিকিৎসা।  কিন্তু লন্ডনের সেন্ট  মেরি’স হাসপাতালের একদল চিকিৎসক দাবি করেছেন, ‘মস্তিষ্কের একদম গভীরে শব্দতরঙ্গ পাঠিয়ে ট্রেমর রোগীকে সারিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন কোনো রকম শল্যচিকিৎসা ছাড়াই’। এই চিকিৎসক দল এমআরই নিয়ন্ত্রিত উচ্চ তরঙ্গের শব্দ বা আলট্রাসাউন্ড পাঠিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মস্তিষ্কে থাকা ট্রেমর’র জন্য দায়ী টিস্যু ধ্বংস করেছেন। উল্লেখ্য, মস্তিষ্কে আলট্রাসাউন্ড চিকিৎসা শুধু ট্রেমরই না, পারকিনসনস রোগের মতো অনিচ্ছাকৃত কম্পনজনিত অন্যান্য সমস্যায়ও ফলপ্রসূ হতে পারে। সাধারণত ৪০ বছরের বেশি বয়সে প্রতি ২৫ জনে একজন এই সমস্যায় আক্রান্ত হন। এখন বিনা অপারেশনেই ভাল হয়ে যাবেন কম্পন রোগীরা। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য  ইনসুলিনের পরিবর্তে ট্যাবলেট আবিষ্কার হয়েছে আমেরিকায়। ফলে কষ্টজনক ইনসুলিন গ্রহণের দিন শেষ হয়ে আসছে।  
বর্ণিত ও অনুল্লেখিত আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাগুলো এবং প্রচলিত ব্যাধির চিকিৎসার মানোন্নন সম্পর্কে জানতে হবে এবং দেশে ব্যবহার করতে হবে। তবেই মানুষ ব্যাধিমুক্ত হবে। কিন্তু এজন্য প্রয়োজন বর্ণিত ব্যবস্থা সম্পর্কে দক্ষ ডাক্তার। কিন্তু দেশে সে ধরনের ডাক্তার নেই বললেই চলে। তাই দেশে আধুনিক চিকিৎসা সম্পর্কিত ডাক্তার তৈরি করা এবং তদসংক্রান্ত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা আবশ্যক। সেজন্য প্রয়োজন মান্দাতার আমলের সিরাপ তৈরি করা মেডিক্যাল বই ত্যাগ করে আধুনিক চিকিৎসা সংক্রান্ত বই এবং তা শিক্ষাদানের জন্য আধুনিক মেডিক্যাল শিক্ষকও আবশ্যক। কিন্তু  দেশে পর্যাপ্ত সংখ্যায় তা নেই। তাই যথাশিগগির বিদেশ থেকে হলেও আধুনিক মেডিক্যাল শিক্ষক এনে নিয়োগ  দিতে হবে মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়া, মেডিক্যালে পড়তে ইচ্ছুক  এমন কয়েক হাজার  শিক্ষার্থীকে সরকারি বৃত্তি দিয়ে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি করার ব্যবস্থা করতে হবে। সেখানে তারা শিক্ষা গ্রহণ করে আধুনিক ডাক্তার তৈরি হয়ে দেশে এসে আধুনিক চিকিৎসা প্রদান করবেন। সময় বেশি লাগবে না। মাত্র ৪-৫ বছর। এছাড়া, দেশে কর্মরত মেডিক্যাল প্রফেসর ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে যারা সর্বাধিক মানসম্পন্ন তাদেরকে পর্যায়ক্রমে বিদেশের আধুনিক মেডিক্যাল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতাল থেকে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিয়ে আনা প্রয়োজন। এভাবেই কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে।
তবে, এই দেশি-বিদেশি আধুনিক শিক্ষক ও ডাক্তাগণকে সারাদেশের প্রতিটি কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে বাধ্যতামূলক পোস্টিং দিতে হবে এবং সেখানে সব ব্যাধির প্রয়োজনীয় টেস্টের  আধুনিক মেশিনপত্র সরবরাহ ও তা সার্বক্ষণিক সচল রেখে মানসম্পন্ন টেস্ট করতে হবে। কারণ, দেশের প্রধান চিকিৎসাস্থল- ঢাকা, সেখানের বড়বড় হাসপাতালগুলোতেও সবকিছু টেস্ট করার ব্যবস্থা নেই। ফলে কয়েকটি নির্দিষ্ট হাসপাতাল ও ডায়াগনিস্টিক সেন্টার থেকে প্রয়োজনীয় টেস্ট করতে হয়। এতে সময়, ভোগান্তি ও অর্থ ব্যয় সবই লাগে বেশি। এছাড়া, প্রত্যেকটি মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম মোতাবেক জনবল নিয়োগ এবং প্রতিটি স্থানেই কঠোর জবাবদিহিতা বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। তাতে কারো বিরুদ্ধে কর্মে গাফিলতি, ফাঁকিবাজি, কমিশন গ্রহণ, অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ/টেস্ট প্রদানকারী এবং রোগীর সাথে খারাপ আচরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে প্রতিটি জেলায় মেডিক্যাল ভিজিলেন্স টিম গঠন করতে হবে।  তাহলেই দেশবাসী স্বল্প ব্যয়েই সব ব্যাধির আধুনিক চিকিৎসা পাবে স্বীয় এলাকাতেই। ঢাকায় আসতে হবে না কিংবা দেশের বাইরেও যেতে হবে না বিপুল অর্থ ব্যয় করে। উপরন্তু মানুষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। দেশের উন্নতিও ত্বরান্বিত হবে।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, ৪৫ জন প্রকৌশল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে রাশিয়ার বিখ্যাত প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করানো হয়েছে। তারা সেখানে পরমাণু প্রকৌশলী শিক্ষা শেষ করে দেশে এসে রূপপুর পরমাণুু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাবেন শর্ত অনুযায়ী। দ্বিতীয়ত দেশে মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কিন্তু তার উপযুক্ত শিক্ষক নেই দেশে। তাই বিদেশি শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে সেখানে। ৪-৫ বছরের মধ্যেই সেখান থেকে সমুদ্র বিজ্ঞানী তৈরি হয়ে দেশের সমুদ্র এলাকায় সম্পদ আহরণে নিযুক্ত হবেন। দেশের কল্যাণ হবে। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে তদ্রƒপ ঘটবে দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রেও।
স্মরণীয় যে, মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের শিক্ষাক্রম চালু হওয়ার সময় ডাক্তারি পেশা একটি মহৎ পেশা বলে সকলকে জ্ঞাত করানো হয় বলে প্রখ্যাত চিকিৎসক ও পিজির সাবেক অধ্যক্ষ প্রাণ গোপাল এক নিবন্ধে উল্লেখ করেছেন। আমার সাধারণ জ্ঞানে মনে হয় এটা একদিনের বক্তব্যে বা শ্রবণেই তাদের হৃদয়ঙ্গম হবে না। কারণ বর্তমান বাস্তবতা তার প্রমাণ। তাই এটাকে সারাজীবনের জন্য হৃদয়ঙ্গম ও বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট সকলকেই শিক্ষা ও পেশাজীবনের পুরো সময়ই উদ্বুদ্ধ করা প্রয়োজন যে, স্বাস্থ্যখাতের পেশা আর অন্যসব পেশা এক নয়। স্বাস্থ্যখাতের পেশা হচ্ছে সেবামূলক  পেশা, যা খুবই মহৎ কাজ। এ পেশার লোকদের সাথে মানুষের মরা-বাঁচার বা সুস্থ হওয়ার বিষয় সম্পর্কিত। তাই এই পেশা খুবই উত্তম পেশা। আর সেবা প্রদানকারীকে মানুষ ভালবাসেন। স্রষ্টাও ভালবাসেন। ফলে এটা  ইবাদততুল্য কাজ। তাই স্বাস্থ্যখাতের সকলকেই প্রত্যেক রোগীর সাথে উত্তম ব্যবহার ও পরম আন্তরিকতার সাথে আচরণ করতে হবে। ডাক্তারদের আচরণ হতে হবে সদা হাস্যোজ্জ্বল, পরিবেশ হতে হবে বিনোদনমূলক ও কথাবার্তা  হবে আশাজাগানো। রোগীকে দেখা মাত্রই বলতে হবে আপনাকে তো দেখে মনে হচ্ছে কিছুই হয়নি। তবুও এসেছেন কেন? এটা শুনলেই রোগীর মন চাঙ্গা হয়ে উঠবে নিমিষেই। অথচ বর্তমান অবস্থা হচ্ছে-বেশিরভাগ ডাক্তার রোগীকে দেখামাত্রই বলেন- এসেছেন তো সব শেষ করে! আরও আগে এলেন না কেন? এসব কথা শোনার পর রোগীর মানসিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে যায়। ফলে ব্যাধি বেড়ে যায়। আর ভালো করে দেখার পর প্রেসক্রিপসন দিয়ে বলতে হবে এই ওষুধ খেলেই ভালো হয়ে যাবেন। আর আসতে হবে না। তবে তেমন কোনো সমস্যা দেখা দিলে আসতে পারেন। ডাক্তারের এই ইতিবাচক আচরণে রোগী খুশি হয়ে নিঃশ্চিন্তে থাকবেন যতদিন বাঁচবেন। উপরন্তু, ডাক্তারগণও মানুষের কাছে স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবেন। তাদের রোগী সংগ্রহের জন্য দালাল লাগাতে হবে না। কিংবা অধ্যাপক ড. প্রাণ গোপাল দত্তের ভাষায় ডায়াগনিস্টিক সেন্টার থেকে ৪০% কমিশন খেতে হবে না। বিনা প্রচারণাতেই খ্যাতি ছড়িয়ে পড়বে। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। যেমন এ দেশের ডায়াবেটিস  রোগের পথিকৃত চিকিৎসক ও বারডেম হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে আছেন শুধু ভালো চিকিৎসা ও সুব্যবহারের জন্য। স্মরণীয় যে, মাদার তেরেসা ডাক্তার না হয়েও শুধুমাত্র আর্তমানবতার সেবা করে ভারত রতœ, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী (১৯৭৯ সালে)। আলবেনিয়ার মা-বাবার ঘরে মেসিডোনিয়ায় ২৬ আগস্ট, ১৯১০ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। ১৯২৯ সালে আসেন ভারতের কলকাতায়। তারপর প্রথমে ১০ বছর শিক্ষকতা করেন। পরে আর্তমানবতার সেবায় নিয়োজিত হন। সেখানেই ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৭ সালে মৃত্যুবরণ পর্যন্ত দুস্থ ও পীড়িত মানুষের সেবা শুশ্রƒষা করেন। তাই  তিনি শুধু ভারতেই নয়, বরং বিশ্বজুড়েই তাঁর খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র আর্তমানবতার সেবা করেই তিনি এটা অর্জন করেছেন। অন্য কোনভাবে নয়।
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য, আমি নিজে এবং পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা করিয়েছি কয়েকজন প্রফেসরের কাছে। যেমন: গাইনীর টি এ চৌধুরী, হার্টের  আব্দুল কাদের আকন্দ,  ফারূক আহমেদ, মাহবুবুর রহমান বাবু, অর্থপেডিকের আমজাদ হোসাইন, মেডিসিনের নুরুল ইসলাম, গ্যাস্টোলিভার প্রদেশ রায়, এলার্জির শাহিন বিশ্বাস, চাইল্ডে এম আর খান। তাদের কাছ থেকে ভালো ও সন্তোষজনক আচরণই পেয়েছি। প্রফেসর বি চৌধুরী ও প্রফেসর লুৎফর রহমানের চিকিৎসা গ্রহণ করিনি। কিন্তু শুনেছি তাদের মান ও ব্যবহার খুব ভালো। এমন হয়তো আরও অনেকেই আছেন। কিন্তু তাই বলে সব ডাক্তারের আচরণ যে ভালো নয়, তা ভুক্তভোগীরা ভালো করেই জানেন। যথাযথ শিক্ষা এবং মনিটরিং নিশ্চিত করা গেলে তাদের মান এবং সন্তোষজনক আচরণ পাওয়া অসম্ভব হবে না।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট  
sardarsiraj55@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন