শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

লাইসেন্স পেল অর্থনৈতিক অঞ্চল বাস্তবায়নকারী উদ্যোক্তারা

| প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী উদ্যোক্তাদের লাইসেন্স প্রদান করেছে নিয়ন্ত্রকারী সংস্থা বেজা। ১০টি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে ১৩টি বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার প্রাক- যোগ্যতা লাইসেন্স প্রদান করেছে প্রতিষ্ঠানটি। গতকাল কারওয়ান বাজারের বেজা সম্মেলন কক্ষে এই লাইসেন্স প্রদান করা হয়। লাইসেন্স প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান এবং সচিব পবন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বেজার নির্বাহী সদস্য এম এমদাদুল হক ও মো. আব্দুস সামাদসহ পদস্থ কর্মকর্তাগণ এবং এএমইজেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এএসএম মাঈনুদ্দিন মোনেম ও আবদুল মোনেম লিমিটেড-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম মহিউদ্দিন মোনেমসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন তরান্বিতকরণ, আগামী ১৫ বছরের মধ্যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ২০২১ সালের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় এবং ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রত্যাশা নিয়ে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সূত্র জানায়, আবদুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল (এএমইজেড) লিমিটেড বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিথযশা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম লিমিটেড-এর একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৩৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার চর বাউশিয়া ও চর জাজিরা মৌজায় অবস্থিত এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের বর্তমান এলাকা ১শ’ ৪২ দশমিক ৪১৯০ একর। যার লাইসেন্স প্রদান করা হলো। এখানে অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য অনুমোদিত মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী ভূমি উন্নয়নসহ শিল্পকারখানা স্থাপন করা হবে। সমগ্র এলাকার পরিবেশগত প্রভাব নিরুপণ সমীক্ষা এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং তা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অনুমোদিত হয়েছে। একই সঙ্গে এই অঞ্চলে কেন্দ্রীয় শিল্পবর্জ্য শোধনাগার, পানি শোধনাগার, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা, অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাসহ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় শর্তাবলী পালন করা হবে। আবদুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল দেশের সার্বিক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এই প্রত্যাশায় গতকাল এ লাইসেন্স প্রদান করা হয়। সূত্র মতে, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা মুলধন বিনিয়োগের বিপরীতে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভূমি ক্রয়, ভূমি উন্নয়ন এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, নিজস্ব পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, তিতাস থেকে সরবরাহকৃত গ্যাস সংযোগসহ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সকল সর্বাধুনিক পরিসেবা সুবিধাদি থাকবে যা এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদেরকে সরবরাহ করা হবে। এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ সড়ক, আধুনিক নিষ্কাশন ব্যবস্থা, জীব-বৈচিত্র রক্ষাকল্পে দীর্ঘ জলাধার এবং পরিবেশ বন্ধব সবুজের সমারোহ থাকবে। প্রস্তাবিত শিল্পখাতের মধ্যে পোশাক ও বস্ত্র শিল্প, মোটর-যন্ত্রাংশ সংযোজন শিল্প, মিশ্রখাদ্য শিল্প, প্যাকেজিং শিল্প ইত্যাদি রয়েছে। ইতোমধ্যে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য জাপানসহ বিভিন্ন দেশের ৫টি প্রতিষ্ঠানের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা চলছে। উদ্যোক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ১ম বছর থেকে দক্ষ-অদক্ষ নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে যা ৫ বছরের মধ্যে লক্ষাধিকে উন্নীত হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন