স্টাফ রিপোর্টার : ১০ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য অভিনয় শিল্পী সংঘের নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচন করছেন জনপ্রিয় অভিনেতা ডি এ তায়েব। নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে এখন তিনি তুমুল ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছেন। প্রত্যেক ভোটারের কাছে স্বশরীরে হাজির হয়ে ভোট চাচ্ছেন। তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে সমানভাবে ভোট চাচ্ছেন। বলা যায়, প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে তিনি তার প্রতিদ্ব›দ্বীদের চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছেন। বলা বাহুল্য, ডি এ তায়েব এমন একজন অভিনেতা যিনি খুব সহজে সকলকে আপন করে নিতে পারেন। কে বড় আর কে ছোট-এ ভেদাভেদ তিনি করেন না। সকলের সাথেই তার স্বভাবসুলভ বিনয় এবং হাসিমুখে মিশেন ও কথা বলেন। এমনকি কেউ যদি বিপদে পড়ে গভীর রাতেও তাকে ফোন করেন, তিনি তা ধরেন এবং তার জন্য যথাসাধ্য উপকার করার চেষ্টা করেন। ফলে নাট্যাঙ্গনে তিনি ‘দুঃসময়ের বন্ধ’ু হিসেবে পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। ইতোমধ্যে ডি এ তায়েব নির্বাচনে জয়লাভ করলে সংগঠনের সদস্যদের জন্য কি করবেন, তার একটি রূপরেখা তুলে ধরেছেন। তিনি প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন, বঞ্চিত ও অসহায় শিল্পীসহ সকল শিল্পীর স্বার্থ এবং আত্মমর্যাদা অক্ষুণœœ রাখতে সবসময় পাশে থাকবেন। ইতোমধ্যে তিনি এর নজিরও স্থাপন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অসহায়, দুঃস্থ ও অসুস্থ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নিয়ে যেতে ভূমিকা রেখেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন অভিনেত্রীর রানী সরকার, চিত্রনায়িকা বনশ্রী, চিত্রনায়ক আব্দুস সাত্তার, অভিনেত্রী মায়া ঘোষ, রানু দাশ, শুভ্রাকে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা পেতে কার্যকর ভূমিকা পালন করেছেন। ভবিষ্যতেও অভিনয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কারো দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার করেছেন। তিনি নির্বাচিত হলে মিডিয়া ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার নির্মাণ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ধানমন্ডি হাসপাতাল প্রাইভেট লি. এবং ধানমন্ডি ক্লিনিক প্রাইভেট লি. এ সকল অভিনয় শিল্পীদের জন্য শতকরা ৫০ ভাগ কম খরছে চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। এর পাশাপাশি সব শিল্পীদের জন্য একটি শিল্প নগরী স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছেন। যেখানে অভিনয় শিল্পীরা স্বল্প খরছে কিস্তির মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করে বাসস্থান নিশ্চিত করতে পারবেন। এছাড়া শিল্পীদের যে কোনো সমস্যায় পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। ডি এ তায়েবের এ ঘোষণায় শিল্পী মহলে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বিশ্বাস করছেন, তিনি নির্বাচিত হলে শিল্পীদের আত্মমর্যাদা বৃদ্ধিতে যেমন সহায়ক হবেন, তেমনি যে কোনো সমস্যায় তাকে কাছে পাওয়া যাবে। তারা এমন একজন নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিত্বকেই সংগঠনের নেতৃত্বে দেখতে চান। এদিকে সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, তারা ডি এ তায়েবের এ অঙ্গীকার এবং উদ্যোগী ভূমিকায় অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তারা মনে করছেন, তার মতো একজন কার্যকর ও নিবেদিত প্রাণ ব্যক্তিত্বেরই সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হওয়া উচিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন