বিশেষ সংবাদদাতা : আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক থেকেই সুখ্যাতি পেয়ে গেছেন কাটার মাস্টার হিসেবে। এই কাঁটার যাদুতেই ২০১৫-১৬ মওশুমে আইসিসি’র বর্ষসেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কারে হয়েছেন ভুষিত। ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় পোর্টাল ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা টি-২০ বোলারের পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন গত শুক্রবার। সংক্ষিপ্ত ভার্সনের ক্রিকেট ওয়ানডে, টি-২০’র মতো টেস্টেও কাটার ডেলিভারির বিশেষত্বে নিজেকে আলাদা করে রেখেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চট্টগ্রামে নিজের টেস্ট অভিষেকে হাশিম আমলা, ডুমিনি, ডি কক, বাভুমাকে শিকার করেছেন কাঁটার এবং সেøায়ার ডেলিভারিতেই। তবে অভিষেক টেস্ট ইনিংসে দ্যুতি ছড়ানো (৪/৩৭) মুস্তাফিজুর ২১ মাস পর টেস্ট প্রত্যাবর্তনে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাকে ঘায়েলে অন্য অস্ত্র প্রয়োগের কথা ভাবছেন।
সম্প্রতি বিসিএলের দুই রাউন্ডে কাটার ডেলিভারির কার্যকরীতা তেমন একটা দেখতে না পাওয়ায় নুতন কিছু করবেন বলে মনস্থির করেছেন মুস্তাফিজুর। গতকাল ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা টি-২০ বোলারের পুরস্কার হাতে পেয়ে এমনটাই জানিয়েছেন মিডিয়াকেÑ ‘বিসিএলে দু’টি ম্যাচ খেলেছি। সেখানে জোরে বল করার পাশাপাশি সুইং করানোর চেষ্টা করেছি। কাঁটার কিংবা সেøায়ার চারদিনের ম্যাচে ততটা কার্যকরী হয় না, তা টের পেয়েছি। তাই বিসিএলে ভালো জায়গায় ধারাবাহিক ছন্দে বল করার চেষ্টা করেছি।’
লন্ডনের বুপা ক্রমওয়েল হাসপাতালে কাঁধের টেলিস্কোপ সার্জারির পর সুস্থ হয়ে উঠে নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়ানডে এবং টি-২০ খেলেছেন ঠিকই, তবে খেলেছেন তিনি জড়তা নিয়ে। পুরোপুরি ফিট না থাকায় আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিও ছিল ওই সফরে। তবে লংগার ভার্সন আসর বিসিএলে ২ ম্যাচ খেলে ফিরে পেয়েছেন আত্মবিশ্বাস, তেমনটাই জানিয়েছেন এই বিস্ময় বোলারÑ ‘আগের চেয়ে আত্মবিশ্বাস এখন অনেক ভালো। কোন রকমের অস্বস্তি নেই। এখন সব কিছু ভালো যাচ্ছে।’
নিউজিল্যান্ড সফরে দলের সঙ্গে থেকেও খেলতে পারেননি টেস্ট, হায়দারাবাদ টেস্টের দল থেকে নিজেই চেয়েছেন বিশ্রাম। ধীরে ধীরে ফিট হয়ে ওঠা মুস্তাফিজুরকে তিন ফরমেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেখতে চান নির্বাচকরা। নির্বাচকদের আশ্বস্ত করতে বৈচিত্রময় বোলিংয়ের পর সাতক্ষীরা এক্সপ্রেসেরÑ ‘ইনজুরির পর নিউজিল্যান্ড সফরে ছিলাম। টেস্টেও দলের সঙ্গে থেকেও খেলতে পারিনি। ভারতে আমি যেতে পারিনি। এখন শ্রীলঙ্কা সফরের টেস্ট দলে আছি। ওয়ানডে এবং টি-২০ দলে থাকব কিনা জানি না। যদি তিন ফরমেটের ক্রিকেটে থাকতে পারি, চেষ্টা করব কিছু একটা দেওয়ার। এখন সব ফরমেটে খেলার জন্য আমি প্রস্তুত। আগের মতো বৈচিত্রময় বোলিং করার চেষ্টা করব।’
আইসিসি’র বর্ষসেরা উদীয়মাম ক্রিকেটারের পুরস্কারে ভুষিত হওয়ার সুখবর নিয়ে নিউজিল্যান্ড প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এবার ক্রিকইনফোর বর্ষসেরা টি-২০ বোলারের পুরস্কার জিতে শুরু করছেন টেস্ট মিশন। এই পুরস্কারে অনুপ্রাণিত হয়ে নুতন করে শুরু করতে চান মুস্তাফিজুর। চেনারূপেই ফিরতে চান মুস্তাফিজÑ‘পুরস্কার পাওয়া সব সময়ই আনন্দের। আমি অনেক খুশি। এমন অর্জন সব সময়ই অনুপ্রেরণা জোগায় ভালো ক্রিকেট খেলতে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন