নাজিরপুর উপজেলা সংবাদদাতা : পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার ৩টি ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আ’লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে একের পর এক হামলা সংঘর্ষে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর একের পর এক আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রকাশ্যে বহিরাগত ভাড়াটে ক্যাডারদের মহড়া, ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখানো, প্রতিপক্ষের নির্বাচনীয় ক্যাম্প ভাঙচুর, প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীসহ কর্মী-সমর্থকদের মারধরের কারণে হঠাৎ নির্বাচনীয় মাঠ উত্তপ্ত হয়ে ওঠেছে। আগামী ১৬ এপ্রিল উপজেলার কলার দোয়ানীয়া, দেউলবাড়ি দোবরা ও শ্রীরামকাঠী এ ৩ ইউপি’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অভিযোগ করে জানান, ওই ৩ ইউনিয়নে আ’লীগ ও তাদের বিদ্রোহী প্রার্থীদের ক্যাডার বাহিনীর প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়ায় সাধারণ ভোটারদের আতঙ্কিত করেছে। উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের প্রার্থী মো. নান্না মিয়া অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আলাউদ্দীন বাহাদুর তাকে (নান্না মিয়া) নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এমন কি প্রার্থী আলাউদ্দীন বাহাদুরের ছেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের এসি (এএসপি) আনিচ উদ্দীন বাহাদুর মিঠু গত শুক্রবার তার পিতার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে ছুটিতে এসেই ওইদিন বিকাল থেকে প্রতিদিনই এলাকায় অর্ধশতাধিক মোটর সাইকেল নিয়ে বহিরাগত ক্যাডারদের নিয়ে মহড়া দিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। এ ছাড়া ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন গাউস, উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক জাহিদ হোসেন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাশেদুল ইসলামসহ ১২ জন আহত করার অভিযোগ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন