সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

যমুনায় পানি বৃদ্ধি ও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাজিপুরের কালোবোরো চাষিরা

| প্রকাশের সময় : ১৩ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

টি এম কামাল, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে : যমুনায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ও ঝড়ের কবলে পড়ে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের কালো ইরি-বোরো ধান চাষীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। যমুনা নদীর পানি আকস্মীক বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান তলিয়ে গেছে, অবশিষ্ট ধান শিলাবৃষ্ঠি ও ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় চাষিরা লোকসানের কবলে পড়েছে। সার, কীটনাশক ব্যতিরেকে বিনা চাষে রোপন, খেতে সুস্বাধুসহ নানাবিদ অনুন্না বৈশিষ্ঠের কারণে কালোবোরো ধান চাষ কাজিপুরে ইতিমধ্যে খুব সমাদৃত হয়েছে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কাজিপুরে ৪৫০ হেক্টর জমিতে কালো-বোরো ধানের চাষাবাদ হয়েছে। ধানের উৎপাদন হয়েছিল খুব ভাল। বোরো চাষিদের সূত্রে জানা যায়, কার্তিক মাসে এই ধানের চারা জমিতে ফেলতে হয়। চারা গজানোর দেড় মাসের মধ্যে এই ধান রোপন করতে হয়। এই ধান সাধারণত পৌষ মাসের মাসের প্রথম থেকে মাঝামাঝি নাগাদ রোপন করতে হয়। পলি অধ্যুষিত যমুনা নদীর ধারে অথবা খাড়িতে বিনা চাষে রোপন করা যায়। রোপিত জমিতে প্রচুর পলি থাকায় এই ধানে কোন প্রকার কিটনাশক বা রাসায়নিক সার ব্যবহার করতে হয় না। কালোবোরো ধান চৈত্র মাসের শেষ থেকে বৈশাখ মাসের শেষ সময়ের মধ্যে ধান কাটার সময় হয়। কালো বোরো ধানের চাউল খুব সুস্বাদু, সেই সাথে ধান  চাষে সার, কিটনাশক ব্যবহার না করার কারণে স্থানীয় ভাবে এই ধানের চাউল ব্যপক সমাদৃত। এই ধান ভাল হলে প্রতি বিঘায় ১২/১৪ মন ফলন হয়ে থাকে। ৪৫০ হেক্টর জমির মধ্যে প্রায় ২০০ হেক্টর জমির ধান  আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ধান তলিয়ে গেছে, অবশিষ্ট ধান শিলাবৃষ্ঠি ও ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে চাষিরা লোকসানের কবলে পড়েছে।
কাজিপুরের চরগিরিশ ইউনিয়নের চাষি রহিচ মন্ডল জানান, চলতি মৌসুমে তিনি ৩ বিঘা জমিতে কালো বোরো ধান চাষ করেছিল কিন্ত অসময়ে বন্যা হওয়ায় তার ২ বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। বাকি এক বিঘা জমির ধান ঝড়ে ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রায় একই অবস্থা অন্যান্যা কৃষককের বেলায়ও ঘটেছে। ফলে এ চলতি বছরে কালো-বোরোধান চাষ করে চাষিদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।


 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন