বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কাপ্তাই পাহাড় ধস পরিবারে ঈদের আমেজ নেই : আছে শুধু কান্না

আমরা ত্রাণ চাই না, মাথা গোজার ঠাঁই চাই, যার কিছু নেই তাদের আবার ঈদ কিসের

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুন, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কবির হোসেন, কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) থেকে : ঘর নেই,বাড়ি নেই, কাজ নেই থাকার কোন জায়গা নেই আমাদের আবার ঈদ। কথাগুলো অতি দুঃখ বেদনা আর কান্না কণ্ঠে বলছিলেন মোরার আঘাত এবং ভয়াবহ পাহাড় ধসে দীর্ঘ ১৩ দিন যাবত আশ্রায় থাকা নিহত এবং আহত পরিবারের স্বজনরা। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পাহাড় আর সুন্দার বন জীববৈচিত্র্য এখন শুধু ধংসলীলা যে দিকে তাকানো হয় শুধু ধবংস আর ধবংস নেড়া পাড়া নিথর অবস্থায় পড়ে আছে সবুজ গাছ গাছিলা। কাপ্তাই উপজেলার ১৮ জন লোক পাহাড় ধসে মারা যায় এবং প্রাশ শাতাধীক লোকজন আহত হয়। শত, শত বসতঘর পাহাড় ধসে বিধস্ত হয়ে অসহায় লোকজন কাপ্তাই আশ্রায় কেন্দ্রে মানবতার জীবন যাপান করছে। এবং মাথা গোজার ঠাই খুজছেন। পাহাড় ধসে কাপ্তাই নিহত রমজান আলীর মা সুমি আক্তার বলেন, আমি স্বামী হারা একটি ছেলে তাও কেড়ে নিল পাহাড়ে আমি এখন অসহায় পড়ে আছি। সরকার থেকে বিশ হাজার টাকা ত্রিশ কেজি চাল পেয়েছি আর আশ্রায় কেন্দ্রে শুধু খানা দিচ্ছে আর কিছু পাচ্ছিনা।
যার কিছুই নেই তার আবার ঈদ কিসের। পাহাড় ধসে ঘর ভেঙ্গে কর্ণফুলী নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়া অসুস্থ ইসমাইল, সাধান দাশ, মহি উদ্দিন, আমির আলী, রোজিনা বেগম, কমলা বালা, জল দাশ এরা বলেন, আমাদের কাজ নেই, কোন কর্মনেই কোথায় যাব তারও কোন কুল কিনারা পাচ্ছিনা। নিজস্ব কোন সম্পত্তি নেই, যে মাথায় গোজার ঠাই করে নিব। সরকারের পক্ষ হতে এখন পযন্ত কোন ধরনের সাহায্যে পাচ্ছিনা যে সোজা হয়ে দাঁড়াবো। আর এক দিন পরে আমাদের ঈদ ছেলে /মেয়েদের যে একটি নুতন জামা কাপড় কিনে তাও পাড়ছি না। আমাদের দুঃখি মানুষের কান্না কেউ শুনেনা। পঙ্গু হেলেনা বেগম বলেন আমার ছোট ছেলে মেয়েরা কান্না করছে মা আমাদের ঘরে ফিরে চল আর আশ্রায় কেন্দ্রে থাকতে মন চায়না। মায়ের দুঃখ চোখ বেয়ে পানি পড়ছে। আর বলছে বাবা আমাদের তো ঘর নেই থাকার জায়গা নেই কোথায় যাব। এ কথা শুনে ইনকিলাবের প্রতিনিধির চোখে কান্না চলে আসে। বলার আর কিছু থাকেনা এদের কি দিয়ে শান্তনা দিব। পাহাড়ের লোক জনের ঈদতো এখন মাটির ধুলায় মিশে গেছে।
আশ্রায় কেন্দ্রে গতকাল শনিবার ইনকিলাব প্রতিনিধি তাঁদের দুঃখ কষ্ঠের কথা শুনতে যায় তখন সুর্বণা, হেলাল, সালমা, হারধন নাছির, আলী হোসেন, রুহুল আমিন, শাহ আলম, বেলাল, নজরুল শেখ ফরিদ, হাজেরা খাতুন, সবুর আলী, আলম ও সুলতান মিয়া এরা সবাই ঘিরে ধরে কেই বলে আমার নাম লিখেন, আবার কেউ আমার নামটিও দেন। সবাই মনে করছে তাঁদের জন্য হয়তো বা সাহায্যে বা জায়গা দিবে। যখন শুনলো পত্রিকার সাংবাদিক তখন বলল, ভাই আমাদের জন্য একটু লেখেন আমরা আশ্রায় চাই না আমরা মাথা গোজার ঠাই চাই। আর কত দিন এ আশ্রায় কেন্দ্রে থাকব। কোন বাসা বাড়ি নেই সব পাহাড়ে ধবংস করে নিয়ে গেছে। হাজেরা খাতুন ও সামলাম বলেন, ঈদ আমাদের জন্য আসে নাই। ঈদ আসছে বড় লোকদের জন্য। এদিকে আশ্রায় কেন্দ্রে থাকা ঘর-বাড়ি হারা ৬৩ পরিবারের ২শত ৬৪ জন লোকজন আজ প্রায় ১৪দিন যাবত নিথর অবস্থায় পড়ে আছে। এদিকে শুধু প্রশাসনের পক্ষ হতে খানা পাচ্ছে। আর কোন সাহায্যে বা আমাদের কোন আশ্রায় দেওয়া হবে কিনা তা কেই বলছেনা। সাংবাদিক ভাই এ রমযান মাসে আমরা আপনার নিকট সরকারকে বলতে চাই আমাদের চিরস্থায়ীর জন্য ঠাই দেওয়া হউক না হয় এ আশ্রায় কেন্দ্রে আমরাদের সবাইকে মেরা ফেলা হউক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
harun ur rashid ২৫ জুন, ২০১৭, ১১:৩৫ এএম says : 0
Where are our rich so called Muslim who expend million taka for marriage or less important works.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন