শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

তানোরে পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ

| প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা : রাজশাহীর তানোরের মুন্ডুমালা পৌর সদরে নীতিমালা লঙ্ঘন ও পৌর প্ল্যান ছাড়াই শত বছরের বড় পুকুর ভরাট করে পাকা মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করা হলেও পৌরসভার হোল্ডিং ট্রাক্স দেয়া হচ্ছে না শুধুমাত্র ভূমি উন্নয়ন কর সেটি কৃষি জমি বলে পরিশোধ করা হচ্ছে। আর পুকুর ভরাট করায় পরিবেশের ক্ষতির পাশপাশি প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের গৃহস্থালি ও গবাদি পশুকে গোসল করানো নিয়ে চরম বিপাকে পড়তে হয়েছে। এদিকে পুকুর ভরাটে নেয়া হয়েছে অভিনব কৌশল প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে প্রতিনিয়ত একটু একটু পুকুরের জায়গা ভরাট করে মার্কেটের ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত বিএনপি-জামায়াত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে মুন্ডুমালা গ্রামের বাসিন্দা ও বিএনপিপন্থি ইউনুস সরদার এবং মনসুর সরদার এলাকাবাসির বাধা উপেক্ষা করে প্রায় এক একর আয়তনের পুকুর ভরাট শুরু করে। এর পর আস্তে আস্তে পুকুরের প্রায় সিংহভাগ ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে, এবং বাকি টুকুরও ভরাটের কাজ চলছে। প্রায় এক একর আয়তনের তিনতলা বিশিষ্ট ওই মার্কেটের বিধিমোতাকে পৌর কর হবে প্রায় দেড় লাখ টাকা। অথচ তারা পৌরসভায় কোনো কর পরিশোধ করে না। মুন্ডুমালা পৌরসভার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলর বলেন, ইউনূস ও মুনসুর তারা দুই সহদোর এলাকার ধণাঢ্য ও বিত্তশীল হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ মূখখোলার সাহস পায় না, এমনকি তাদের পৌর কর্তৃপক্ষ কোনো কিছু বলতে পারে না, আবার কখনও বললেও সেটা তারা আমলে নেয় না। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে মার্কেট মালিক দু’সহদোর ইউনূস আলী সরদার ও মুনসুর আলী সরদার বলেন, আমাদের নিজস্ব পুকুর ভরাট করে মার্কেট নির্মাণ করবো না কি করবো সেটা আমাদের বিষয়। পুকুর জলাশয় ভরাট ও পৌর প্ল্যান ব্যতিত পৌর এলাকায় মার্কেট নির্মাণ করা যায় কি না এমন প্রশ্নের তারা কোনো সদোত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গেছেন। এব্যাপারে মুন্ডুমালা পৌর প্রকৌশলী জানান, তিনি আশার আগেই মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, পৌর প্ল্যান ব্যতিত পৌর এলাকায় পাকা স্থাপনা নির্মাণ ও পুকুর-জলাশয় ভরাট করা দন্ডনীয় অপরাধ। এব্যাপারে মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী বলেন, মার্কেট নির্মাণের সময় তাদের প্ল্যান করার কথা বলা হয়েছিল, কিন্তু বার বার আশ্বাস দিয়েও তারা এখানো কোনো প্ল্যান পাশ করিয়ে নেননি।
এব্যাপারে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ শওকাত আলী বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। তবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন