তানোর (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা: রাজশাহীর তানোরে অতিদরিদ্রদের জন্য গৃহীত ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন, সংস্কার, নতুন রাস্তাা নির্মাণ ও দরিদ্রদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশপাশি আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমি রেখেছে। কর্মসৃজন কর্মসূচির ফলে একদিকে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের অতিদরিদ্ররা অভাব অনটনের সময় কাজ পাচ্ছে, অন্যদিকে এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষন, কাঁচা রাস্তাা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন ও সংস্কার হচ্ছে। জানা গেছে, স্থানীয় সাংসদ ওমর ফারুক চৌধূরীর দেখভাল ও কঠোর নজরদারির ফলে এই প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের (ইউপি) প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের কাঁচা রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক উন্নয়নে রাতারাতি এসব এলাকায় ব্যাপক পরিবর্তন দেখা গেছে। তানোরের কলমা, পাঁচন্দর ও বাধাইড় ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় এমন কিছু প্রকল্প রয়েছে, যেখানে দেশ স্বাধীনের পরে কোনো উন্নয়ন কাজ (মাটির) পৌচ্ছেনি। এদিকে দীর্ঘদিন পরে এসব গ্রামাঞ্চলের রাস্তাা-ঘাটের দৃশ্যমান ব্যাপক উন্নয়নে সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তানোরে চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির (কর্মসংস্থান) প্রথম পর্যায়ে ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অনুকুলে ৩৩টি প্রকল্পে ৯৫২ জন শ্রমিকের বিপরীতে ৭৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এরমধ্যে কলমা ইউপিতে ৬টি প্রকল্প, সরঞ্জাই ইউপিতে ৩টি প্রকল্প,তালন্দ ইউপিতে ৩টি প্রকল্প, পাঁচন্দর ইউপিতে ৭টি প্রকল্প, চাঁন্দুড়িয়া ইউপিতে ৩টি প্রকল্প, বাধাইড় ইউপিতে ৬টি প্রকল্প ও কামারগাঁ ইউপিতে ৬টি প্রকল্প দেয়া হয়েছে। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর থেকে এসব প্রকল্পের শ্রমিকরা কাজ শুরু করেছেন। কলমা ইউপির আদিবাসি পলীর বাসিন্দা সুরমনি হাসদা (৫৫), গণেশ টুডু (৪৫) ও সেফালী হেমরম (৩২) বলেন, তাদের গ্রামে যাতায়াতের রাস্তাা হবে এটা তারা কখনও কল্পনাও করেননি। কিšত্ত এবার তাদের গ্রামের যাতায়াতের জন্য মাটির রাস্তাা তৈরী করা হয়েছে। পাঁচন্দর ইউপির চিমনা গ্রামের বাসিন্দা আনারুল ইসলাম (৪৫) ও লুৎফর রহমান (৩৩) বলেন, দীর্ঘদিন পরে তাদের গ্রামের মাটির রাস্তাা সংস্কার ও কবরস্থানে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়েছে। বাধাইড় ইউপির জোকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাইদুর রহমান (৫৪) বলেন,এবার তাদের গ্রামের রাস্তাায় মাটি ভরাটের কাজ করায় গ্রামবাসির দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন (পিআইও) কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী এনামুল হক বলেন, এবার এমপি মহোদয়ের কঠোর নির্দেশ ও দেখভাল করায় প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা কাজে কোনো অনিয়ম ও দূর্নীতির আশ্রয় নিতে পারেননি। তিনি বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে দৃশ্যমান প্রায় শতভাগ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
এব্যাপারে কলমা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না বলেন, এবার কর্মসৃজন কর্মসূচির প্রকল্প বাস্তাবায়নের কাজ স্থানীয় সাংসদ (এমপি) নিজেই কঠোর নজরদারি করায় এলাকার গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এব্যাপারে পাঁচন্দর ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপির সভাপতি মমিনুল ইসলাম মমিন বলেন, এবার কর্মসৃজন কর্মসূচির কাজে অনিমের কোনো সুযোগ নাই। তিনি বলেন, এই প্রকল্প বাস্তাবায়নের ফলে তার এলাকায় গ্রামীণ অবকাঠামোর ব্যাপক দৃশ্যমান উন্নয়নের পাশাপাশি অতিদরিদ্র কর্মহীনদের কর্মসংস্থানের সূযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন