মো. ওমর ফারুক, ফেনী থেকে : আগামী ২০১৯ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফেনীতে যার যার মতো কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। ফেনীর ৩টি আসনের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হলো সদর আসন। ফেনী পৌরসভা ও সদর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়ন নিয়ে ফেনী-২ সদর আসন গঠিত।
অতীতে এ আসনে যারা এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তারা জেলার নিয়ন্ত্রক হিসেবে ছিলেন। জেলা সংগঠনের মূল ভূমিকায়ও তাদের দেখা গেছে। অনেকে আবার ক্ষমতা পেয়ে গডফাদার খ্যাতিও পেয়েছেন। ফেনীর ৩টি সংসদীয় আসনের মধ্যে এ আসন নানাভাবে আলোচিত হয়েছে এবং পরিচিতি পেয়েছে। বর্তমানে ফেনী সদর-২ আসনের এমপি হিসেবে রয়েছেন জেলা আ‘লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন হাজারী। তিনি সাড়ে ৩ বছর ফেনী পৌরসভার মেয়র ছিলেন। মেয়র থাকাকালে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে তিনি বিনাপ্রতিদ্ব›দ্বীতায় এমপি হন। বর্তমানে তিনি তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে যেমন জনপ্রিয় তেমনি কেন্দ্রেও তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তার কর্মকান্ডে তৃণমূল নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা যেমন সন্তুষ্ট তেমনি কেন্দ্রীয় নেতাদেরও সমর্থন রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী পরিবারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত আলাউদ্দীন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ফেনীকে সন্ত্রাসমুক্ত জনপদ হিসেবে গড়তে হলে নিজাম হাজারীর বিকল্প নেই বলে মনে করেন। ফলে এ আসনের মনোনয়নে তৃণমূল নেতা হিসেবে নাসিমের সমর্থন পাচ্ছে নিজাম হাজারী। এদিকে নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে রাজনীতির মাঠ তত গরম হচ্ছে। ফেনীতে মামলা হামলায় জর্জরিত বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম পুলিশি বাধা ও আন্তঃকোন্দলে কিছুটা ছন্দ হারালেও থেমে নেই। বিএনপি নেতাকর্মীরা আলাদা আলাদা গ্রæপে বিভক্ত হলেও সিদ্ধান্তের ব্যাপারে নেত্রীকে প্রাধান্য দেন। ফলে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আগামী নির্বাচনে জেলা সংগঠন গোছানোর কাজে মনোযোগ দিয়েছেন। আগামী নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার নের্তৃত্বে নির্বাচন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন নেতাকর্মীরা।
অপরদিকে আ‘লীগ নেতাকর্মীরা অনেকটা খোশ মেজাজে রয়েছে। দল ক্ষমতায় থাকার কারণে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পেয়ে জেলার হাইকমান্ডের প্রতি নেতাকর্মীরা অনুগত রয়েছে।
ফেনী সদর আসনে বর্তমান এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী সর্বজনগ্রাহ্য জননেতা। জেলাজুড়ে তার উন্নয়নের যে ধারা তা অব্যাহত থাকুক এটা চায় দল মত নির্বিশেষে সবাই। ফলে তার মনোনয়ন অনেকটা নিশ্চিত তা ধরে নেয়া যায়। জেলা আ‘লীগের প্রবীণ নেতাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে,আইনী কোন জটিলতা না থাকলে, আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি নিজাম হাজারীর মনোনয়ন কেউ ঠেকাতে পারবে না। তার যে জনপ্রিয়তা তাতে জনগণ মনেপ্রাণে তাকে নির্বাচিত করবে। বিভিন্ন নির্বাচনে ৬ উপজেলা, ৫ পৌরসভা, ৪৪টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং সর্বশেষ জেলা পরিষদের সব কটি পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা জয়ী হন। এ কৃতিত্ব নিজাম হাজারীর বলে মনে করছেন নেতাকর্মীরা। তাই এবার প্রার্থী বাছাইয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক অবস্থান বিবেচনা করা হচ্ছে।
আগামী সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবার ব্যাপারে জানতে চাইলে নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী, দেশনেত্রী শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে মনোনয়ন দিবেন। এক্ষেত্রে তিনি দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন বলে নিশ্চিত করেন। জেলা আ‘লীগের সিনিয়র নেতারা নিজাম হাজারীর প্রতি নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। তারা বলেন,এমপি নির্বাচনে বর্তমান এমপির বিকল্প নেই। তার মনোনয়ন না হলে ফেনীতে বিএনপি প্রার্থীকে হারাতে বেগ পেতে হবে। হয়তো আসনটি ২০০৮ সালের মতো হাতছাড়া হয়ে যাবে।
এ আসনে ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আ‘লীগ থেকে মনোনয়ন পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য উপদেষ্টা ও সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। কিন্তু ভোটযুদ্ধে বিএনপি প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন। ইকবাল সোবহান এবারও দলীয় মনোনয়ন লাভের জোর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে। ফেনীর রাজনীতিতে একসময় তার সক্রিয় অবস্থান থাকলেও বর্তমানে জেলা আ‘লীগের সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে তার মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। এরপরও তিনি সময় পেলে ছুটে আসেন নিজ বাড়ি শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুরে। নির্বাচনী এলাকার মানুষের খোঁজখবর ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
তিনি নিজ বাড়ির প্রবেশমুখে একটি হাফেজিয়া এতিমখানা খুলেছেন। এছাড়াও ফেনীর বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে। কিছুদিন আগে এ আসনের সাবেক এমপি যিনি বর্তমানে ঢাকায় নির্বাসিত জয়নাল হাজারী ইকবাল সোবহানকে নির্বাচনে দলের প্রার্থী হিসেবে সার্বিক সহযোগিতা ও কেন্দ্রের সমর্থন আদায় করে দিবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে ইকবাল সোবহানের প্রস্তুতি অনেকটা জোরেশোরে চলছে বলে মনে করছেন অনেকে।
জানতে চাইলে মুঠোফোনে আলাপকালে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন দিলে তিনি ফেনী সদর আসনে আবারও প্রার্থী হবেন। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত ফেনী তার অঙ্গীকার বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে ফেনী জেলা আ‘লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর আসনের সাবেক এমপি জয়নাল হাজারীও এ আসনে প্রার্থী হবেন বলে শোনা যাচ্ছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপিবিহীন নির্বাচনে ফেনীর ৩টি আসনেই এমপি পদে নমিনেশন দাখিল করেন জয়নাল হাজারী। কিন্তু বিভিন্ন ত্রæটির কারণে তা বাতিল হয়। এবারও তিনি ৩টি আসনে এমপি পদে প্রার্থী হবেন বলে তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে। সব হারিয়ে তিনি বর্তমানে ঢাকায় নি:সঙ্গ জীবন যাপন করছেন।
ঢাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ফেনী চেম্বারের সভাপতি আকম শাহেদ রেজা শিমুল ফেনী সদর আসনে আ‘লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হবার সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি তিনি এখনো কোথাও প্রকাশ না করলেও নির্বাচনী এলাকায় তার সরব উপস্থিতি ও কর্মকান্ড রয়েছে। কিছুদিন পুর্বে বন্যা দুর্গতদের ত্রাণ সহায়তা দিতে তিনি ঢাকা থেকে ছুটে আসেন ফেনীতে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক,সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং গরীর অসহায় মানুষের সহযোগিতায় কাজ করছেন তিনি। নতুনত্বের অঙ্গীকার নিয়ে আগামী দিনে ফেনী সদর আসনে তার আবির্ভাব ঘটবে বলে মনে করছেন অনেকে।
তার মতো ব্যবসায়ী এমপি হলে মানুষের সহযোগিতায় আরো বেশি কাজ করতে পারবেন বলে মনে করছেন ফেনীর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তবে এ ব্যাপারে এখনি কোন মন্তব্য করতে রাজি নয় তিনি। তার ঘনিষ্ঠজনরাও কেউ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তার মনোনয়ন চাওয়ার ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি।
ফেনী সদর আসনটি বিএনপির দুর্ভেদ্য দুর্গ হিসেবে পরিচিত ছিল। এ আসনে ২ জয়নালের লড়াই চলতো সারা বছরজুড়ে। বিএনপির ভিপি জয়নাল আর আ‘লীগের জয়নাল হাজারী রাজনীতির মাঠে ছিল সমানে সমান। দু‘জনই ছিলেন বড় দু‘দলের সাাধারণ সম্পাদক।
২ নেতার দাপুটে বিচরণে ফেনীর রাজনীতিতে সারা বছরজুড়ে রাজনৈতিক জমজমাট কর্মসূচি থাকতো। ফলে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত ছিল। ১৯৯৬ সালে জাসদ থেকে ফেনী জেলা বিএনপিতে যোগ দেন ফেনী সরকারি কলেজের ভিপি অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন। এর আগে ১৯৮৮ সালে জাসদ প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন।
বিএনপির পরাজয় এবং ভাঙ্গনের সূত্রপাত শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। এরপর থেকে জেলা বিএনপি আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। জেলার কিছু নেতার ইন্ধনে ফেনী বিএনপিতে বিভাজন আর বিভেদের রাজনীতির সূচনা করেন খালেদা জিয়ার ভাই সাইদ ইস্কান্দার। এর অংশ হিেেব ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর ফেনী জেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেই থেকে ফেনীতে বিভাজনের রাজনীতির শুরু। ফেনী-৩ আসনের এমপি মোশারফ হোসেন সভাপতি ও ভিপি জয়নাল সাধারণ সম্পাদক থাকাকালে তাদের বাদ দিয়ে জেলা কমিটি করে বিএনপি নেত্রীর ভাই সাইদ ইস্কান্দার। কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে ভিপি জয়নালকে রাজনীতির মূল স্রোত থেকে পৃথক করে দেয়া হলো। এতে ফেনীর মাঠে ভিপি জয়নালের শূন্যতা তৈরি হলো তাতে দৈন্যতা নেমে এলো জেলা বিএনপিতে। নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে গেলো প্রবাহমান স্রোতের ২টি ভিন্ন ধারায়। এতে বিএনপি ধীরে ধীরে দুর্বল হতে থাকে।
এদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেয়ায় আসনটি চলে যায় আওয়ামী লীগের দখলে। ভোট ছাড়াই এখানে সাংসদ নির্বাচিত হন নিজাম হাজারী। এবার সে রকম হওয়ার সম্ভাবনা কম। দুই দলেই রয়েছেন একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী। ফলে নির্বাচন হলে এখানে তুমুল প্রতিদ্ব›দ্বীতার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ আসনে ভিপি জয়নাল ছাড়া এবার দলের মনোনয়ন চাইতে পারেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও ফেনী সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি রেহানা আক্তার রানু। তরুণ নেত্রী হিসেবে নেতাকর্মীদের মাঝে তার বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে। সরকার বিরোধী আন্দোলনে কেন্দ্রে রানুর জোরালো ভূমিকার কথা কারো অজানা নয়।
জাতীয় সংসদেও তিনি আলোচিত নেত্রী। বিএনপি নেত্রীর সাথে সার্বক্ষণিক সঙ্গী হিসেবে রানুকে দেখা যায়। সে হিসেবে তিনি খালেদার আস্থাভাজন বলে জানে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। আগামীর বিএনপিতে রানু উদীয়মান তরুণ নেত্রী বলে মন্তব্য করেন কয়েকজন নেতা।
নির্বাচনে প্রার্থী হবেন কি না জানতে চাইলে রেহানা আক্তার রানু বলেন,ফেনীর তৃণমূল সংগনে তার জনপ্রিয়তা রয়েছে। কিন্তু প্রার্থী হবার ব্যাপারে নেত্রী ও দলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। নেত্রী দলীয় মনোনয়ন দিলে তিনি নির্বাচন করতে প্রস্তুত বলে নিশ্চিত করেন।
এদিকে দলের দুঃসময়ে জেলা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন মিষ্টার। সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে তিনি কারাবরণ করেছেন। বর্তমানে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে হামলার মামলায় জামিনে রয়েছেন।
জিয়াউদ্দীন মিস্টার জানান, ত্যাগী নেতা হিসেবে তিনি অবশ্যই মনোনয়নের দাবীদার। দল তাকে যোগ্য মনে করলে মনোনয়ন দিবে। এ ব্যাপারে নেত্রীর সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছেন ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নেয়ায় জেলার তিনটি আসনই চলে যায় আওয়ামী লীগের দখলে। আগামী নির্বাচনে অংশ নিয়ে সব কটি আসন পুনরুদ্ধারের সময় এসেছে।
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া যাকে মনোনয়ন দেবেন তাকেই দলমত-নির্বিশেষে বিজয়ী করা হবে বলে নিজেদের আস্থার কথা জানান তারা।
ফেনীর স্টারলাইন গ্রুপের এমডি ও জাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হাজী আলাউদ্দীন, জেলা সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমসহ পূর্ণাঙ্গ কমিটি আ‘লীগে যোগ দিলে নেতৃত্বশূন্যতা সৃষ্টি হয় ফেনীতে। জেলায় জাপার এমন দুঃসময়ে কমিটির আহŸায়ক হিসেবে এগিয়ে আসেন ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার নজরুল ইসলাম। ইতিমধ্যে জাপা থেকে এ আসনে তাকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তিনি জানান কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে একক প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দল চাইলে তিনি শেষদিন পর্যন্ত নির্বাচনে টিকে থাকবেন।
নির্বাচন কমিশন দলের নিবন্ধন বাতিল করলেও জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও সাবেক জেলা আমির অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঞা জোটের প্রার্থী হিসেবে এ আসনে মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। জেলার ৩টি আসনের মধ্যে এবার ১টি আসন জামায়াতকে ছেড়ে দিতে হবে বলে শোনা যাচ্ছে। এদিকে জামায়াত বিএনপির ব্যানারে নয় জোটের প্রার্থী হিসেবে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নিবেন বলে জানিয়েছেন জেলা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা একেএম শামছুদ্দিন। তাদের প্রার্থী হিসেবে ফেনীর প্রবীণ জামায়াত নেতা অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঞাকে দল থেকে চুড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন