নান্দাইল (ময়ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা: ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের গ্রামীণ বিদ্যুৎতায়ন সংযোগের নামে স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের কিছু লোকেরা লাখ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে নান্দাইল মডেল থানায় মামলা হয়েছে।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ সূত্রে জনা যায়, উপজেলার আচারগাঁও ইউনিয়নের ঝাউগড়া গ্রামের প্রতিটি ঘরেঘরে দ্রæত সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা বলে বিগত ১৫ জুলাই ২০১৫ পূর্ব ঝাউগড়া গ্রামের প্রভাবশালী পরিবারের মৃত আ. হামিদের পুত্র সুরুজ আলী, মৃত গোলাম আলীর পুত্র আক্কাস আলী, মৃত তমির উদ্দিন ভূইয়ার পুত্র সিরাজ উদ্দিন ও পূর্ব শিবনগর গ্রামের মৃত শরৎ চন্দ্র বর্মণের পুত্র সুচিন্দ্র চন্দ্র বর্মণ গংরা ওই গ্রামের ১৭৫ জন গ্রাহকের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে মোট আট লাখ ৭৮ হাজার টাকা ও ১১ নভেম্বর ২০১৫ পূনরায় প্রতিজন গ্রাহকের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে মোট পাঁচ লাখ ২৫ হাজার টাকা এবং নির্মাণ শ্রমিকদের খানাখরচ বাবদ ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা সর্ব মোট ১১ লাখ ৪০ হাজার ৮০০ টাকা পকেটস্থ করে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও বিদ্যুৎ সংযোগ পাচ্ছিল না ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের প্রতিশ্রæত বাংলার মানুষের প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছিয়ে দেয়ায় কাজ শুরু হলে ভাগ্যক্রমে ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে বিদ্যুতের তার ও খুঁটি প্রতিস্থাপন করা হয়। পল্লী বিদ্যুতের মিটারসহ প্রতিটি গ্রাহকের বাড়িতে সংযোগ দেয়ার জন্য জামানতের টাকা জমা দেয়ার চাপ দিলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। গ্রাহকরা জানান, বিদ্যুৎ দেয়ার সব খরচ বাবদ ১১ লাখ ৪০ হাজার ৮০০ টাকা উপরোক্ত ব্যক্তিরা গ্রাহকদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন আগেই নিয়ে গেছে। সম্প্রতি ভুক্তভোগী গ্রাহকগণ স্থানীয় সংসদ সদস্যকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন, বিদ্যুতের খুঁটি ও তার নির্মাণে কোনো টাকার প্রয়োজন হয়নি। বর্তমান সরকারের খরচেই নির্মাণ কাজ হয়েছে। শুধু জামানতের টাকা জমা দিলেই ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়ে যাবেন। ইতোপূর্বে যারা আপনাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, এটা প্রতারণা ছাড়া অন্য কিছু নয়। অবশেষে গ্রাহকরা টাকা ফেরত না পেয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নান্দাইল মডেল থানায় মামলা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন