শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

লক্ষ্মীপুর-ফেনী মহাসড়ক ৩০  ফুটে উন্নীত  করা হোক
কিছু দিন আগে নোয়াখালীর চৌমুহনী বাজারে চার লেন সড়ক প্রকল্পের উদ্বোধনকালে বলা হয়েছিল, অতি শিগগিরই লক্ষ্মীপুর-ফেনী ৩০ ফুট মহাসড়কের কাজ শুরু হবে; মহাসড়কটির দুই পাশে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা লেন থাকবে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের লক্ষ্মীপুর নির্বাহী প্রকৌশলী অফিস থেকে ২৪ ফুট প্রশস্তকরণের প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগের একমাত্র ও প্রধান মহাসড়ক হচ্ছে লক্ষ্মীপুর-ফেনী মহাসড়ক। সড়কটি ভোলা ও বরিশালসহ সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। বর্তমানে সড়কটির প্রশস্ততা ১৮ ফুট। তাছাড়া যানবাহন চলাচল সংখ্যা ও গুরুত্ব বিবেচনায় এটি বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের প্রধান মহাসড়ক। কারণ এর সঙ্গে রয়েছে চাঁদপুর জেলাসহ চাঁদপুর-শরীয়তপুর মহাসড়কের সংযোগ। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে এ মহাসড়কটির প্রশস্ততা আঞ্চলিক মহাসড়কের চেয়েও কম। আরও অবাক করা বিষয় হচ্ছে, লক্ষ্মীপুর-বেগমগঞ্জ অংশটি আঞ্চলিক মহাসড়ক। তাই দেশের পূর্ব-পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক এবং দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও রাজধানী ঢাকার সহজ, দ্রুত ও নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে অবিলম্বে লক্ষ্মীপুর-ফেনী মহাসড়টিকে ৩০ ফুটে উন্নীতকরণ (ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা লেনসহ) জরুরি। এ ব্যাপারে আশু ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ফয়সল হাসান,
উন্নয়ন গবেষক,
টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান

ফরিদাবাদ-গে-ারিয়ার সমস্যা
দুর্বল নির্মাণ সামগ্রী এবং বৃষ্টির সময় ফরিদাবাদ-গে-ারিয়ার একাংশের রাস্তা ও ড্রেন নর্দমার কাজ করার পরপরই ভাঙতে শুরু করে। জলাবদ্ধতা ফরিদাবাদ-গে-ারিয়া থেকে দূর করা সম্ভব হয়নি। আইজি গেট থেকে পোস্তগোলা পর্যন্ত রাস্তার বেহাল অবস্থা। এলাকার স্ট্রিট লাইন নিয়মিত জ্বলে না। এখানকার শত শত অবৈধ ওয়েল্ডিং কারখানার আলোকরশ্মির কারণে চোখের ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া কুকুরের উৎপাত, অসময়ে ট্রাকের যানজট, ছিনতাই, রাস্তাঘাট ও ড্রেন-নর্দমা অপরিষ্কার, টহল পুলিশের অভাব, বিদ্যুৎ এবং ডিপিডিসির বিলিং প্রতারণা ও কাজের কথা বলে অহরহ লোডশেডিং, দীর্ঘদিন এলাকার আরসিম গেট আবাসিক এলাকার রাস্তার দুরবস্থা, আবর্জনার স্তূপ, সুয়ারেজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়া তো স্বাভাবিক ঘটনা। ওয়াসার পরিষ্কার পানির অভাব লেগেই আছে। সরু রাস্তা দিন দিন অবৈধদের দখলে চলে যাওয়ার কারণে যাতায়াত করার দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। ফরিদাবাদ-গে-ারিয়ার বিবিধ সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী,
২২/সি, আরসিন গেট,
ফরিদাবাদ-গে-ারিয়া
ঢাকা-১২০৪।

খেলার মাঠ উদ্ধার করা হোক
ঢাকা সিটি করপোরেশনের সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে খেলার মাঠ থাকার কথা। আর রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নীতিমালা অনুযায়ী আবাসিক এলাকার প্রতিটি সেক্টরে একটি খেলার মাঠ রাখার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো ক্ষেত্রেই এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। রাজধানীতে এক সময় প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক খেলার মাঠ থাকলেও এখন অবস্থা একেবারেই নাজুক। ডিসিসির খেলার মাঠ ছাড়া পাড়া-মহল্লার মাঠগুলোয় ঘাসের অভাব ও বাউন্ডারি না থাকা, তদারকির অভাব, মেলার জন্য স্টল বরাদ্দের কারণে শিশু-কিশোররা এসব মাঠে খেলার সুযোগ পায় না। ফলে তাদের বাড়ির ছাদ, গ্যারেজ কিংবা বারান্দাতেই খেলতে হচ্ছে।
শিশুর দৈহিক, মানসিক ও সামাজিক বিকাশের জন্য খেলাধুলা চর্চা অত্যন্ত জরুরি। পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজধানীর ৯৩টি ওয়ার্ডে এখন খেলার মাঠ সর্বসাকুল্যে ২২টি। রাজধানীর খেলার মাঠ শুধু নয়, শিশুদের খেলার জায়গাগুলো ক্রমান্বয়ে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। মাঠ দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে দোকানপাট। খেলার মাঠের অভাব থাকলেও ডিসিসি ১১টি খালি জায়গা নামমাত্র মূল্যে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে লিখে দিয়েছে। আশার কথা হচ্ছে, সম্প্রতি ঢাকা সিটি করপোরেশন ১১টি খেলার মাঠ অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে মুক্ত করেছে। এসব মাঠে ছিন্নমূল মানুষ থাকত ও যানবাহন পার্ক করে রাখা হতো। কোনো কোনো মাঠে দোকানপাটও ছিল।
রাজধানীর খোলা জায়গা রক্ষায় এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। খেলার মাঠ ও পার্ক অপদখলের বিরুদ্ধেও নেওয়া দরকার কড়া পদক্ষেপ। কোনো সরকারি খোলা জায়গায় যেন বস্তি গড়ে না ওঠে সেদিকেও নজর রাখতে হবে। শিশু-কিশোরদের অধিকার রক্ষাই শুধু নয়, রাজধানীতে স্বস্তিকর পরিবেশ বজায় রাখতেই পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান থাকা দরকার। সিটি করপোরেশনের প্রাথমিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে পার্ক ও খেলার মাঠ রক্ষণাবেক্ষণ। আর সব মাঠ দখলদারমুক্ত করে বিনোদনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব সরকারেরই। আশা করি সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
হেলেনা জাহাঙ্গীর,
ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন