শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পীরগাছায় নিষিদ্ধ নোট গাইডে সয়লাব

| প্রকাশের সময় : ২ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

পীরগাছা (রংপুর) থেকে এস.এম সিরাজুল ইসলাম: রংপুরের পীরগাছায় নিষিদ্ধ নোট গাইট বইয়ে সয়লাব কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও সুষ্ঠ তদারকি না থাকায় উৎকন্ঠা ও হতাশায় পড়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি হস্তক্ষেপ না করায় শিক্ষার মান নিয়ে উঠেছে নানান প্রশ্ন। প্রথম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত নোট গাইড বই বিক্রয় ও বাজারজাত করণ সরকার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করলেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে এসব নিম্নমানের নোট ও গাইট বই কিনে প্রতারিত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। এসব নোট গাইট বইয়ের লিস্ট দিয়ে অভিভাবকদের কিনতে বাধ্য করছেন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু অসাধু প্রধান শিক্ষক। ২০০৮সালে নোট গাইট বই বিক্রয় ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করে হাইকোর্ট এবং ২০০৯সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ তা বহাল রাখে। অভিযোগ রয়েছে বছরের শুরুর আগে থেকে এসব নোট গাইট বইয়ের পরিবেশকরা তাদের নিযুক্ত প্রতিনিধিরা উপজেলার লাইব্রেরী সমিতির সভাপতি সম্পাদকগণ তাদের প্রতিনিধির দ্বারা উপজেলার প্রাইমারী স্কুল, কেজি স্কুল এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসব নিষিদ্ধ নোট গাইট বই চালাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে তাদেরকে ম্যানেজ করে ব্যবসা করে আসছে। তাদের মাধ্যমে প্রকাশনীগুলোর নিম্নমানের বই শিক্ষার্থীদের কিনতে বাধ্য করছে শিক্ষকগণ। অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিটি ক্লাসের শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষকরা একটি বুকলিস্ট ধরিয়ে দিয়ে বারবার বই কিনতে বাধ্য করছেন। এ বই চড়া দামে স্থানীয় লাইব্রেরিগুলো থেকে কিনে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে অভিভাবকরা। খোজ নিয়ে জানা যায়, লেকচার, জুপিটার, অনুপম, আইকনসহ বিভিন্ন প্রকাশনীর প্রতিনিধিরা উপজেলার তাদের প্রকাশনার নিম্নমানের নোট গাইট বই শিক্ষার্থীদের বাধ্য করে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করছে শিক্ষকসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রফিক-উদ্-জামান জানান, কোন বিদ্যালয় ওইসব গাইট বই ব্যবহার করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন