দেশে ইন্টারনেটের ব্যবহার দ্রুতগতিতে বেড়ে চলছে। ব্যবহারের দ্রুত প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গত ১০ বছরে ইন্টারনেটের ব্যান্ডউইথ মূল্য অনেক কমলেও জনসাধারণ তার সুফল পাচ্ছে না। গত ২০০৯ সালে যেখানে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের মূল্য ছিল ২৭ হাজার টাকা, তা কমে বর্তমানে ৬২৫ টাকায় নেমে এলেও গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্যে বা সেবার মানোন্নয়নে উলেল্গখযোগ্য কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। সার্কভুক্ত দেশগুলোর জনসংখ্যা অনুপাতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে। অথচ সে অনুপাতে সেবার মান, আউটসোর্সিংসহ তথ্য-প্রযুক্তি খাত হতে আয় বৃদ্ধির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জিত হয়নি আমাদের। এতদিন দেশের একমাত্র সাবমেরিন কেবল লাইন ও ল্যান্ডিং স্টেশনের চাপকে ইন্টারনেটের মন্থরগতি এবং সেবামূল্য না কমানোর অজুহাত হিসেবে দেখাত সেবাদানকারীরা। ইতিমধ্যে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ও ল্যান্ডিং স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথমটির চেয়ে আটগুণ বেশি গতিসম্পন্ন ব্যান্ডউইথের পরও দেশে ইন্টারনেটের গতি বা সেবার মান বৃদ্ধির কোনো লক্ষণ নেই। মোবাইল ফোন অপারেটরদের জন্য ফোরজি নীতিমালাও চূড়ান্ত হয়েছে। তবুও ব্যবহারকারীদের আশ্বস্ত করার মতো কোনো সুসংবাদ নেই। মন্ত্রী মহোদয়, আমরা অধীর অপেক্ষায় আছি; অনুগ্রহ করে মোবাইল কোম্পানিগুলোর উপদ্রপ থেকে আমাদের বাঁচান।
মেনহাজুল ইসলাম তারেক
পার্বতীপুর, দিনাজপুর।
সুন্দরবনকে বাঁচাতে ব্যবস্থা নিন
বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন আমাদের সুন্দরবন, যা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরব। একমাত্র সুন্দরবনের কারণে বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে থাকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের ঐতিহ্যের এই সুন্দরবন আজ ধ্বংসের পথে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বনে ঢুকে চুরি করে কাঠ সংগ্রহ করছে। কুচক্রী মহল সুন্দরবনের বৃক্ষ নিধনে নেমে পড়েছে। যে সুন্দরী গাছের জন্য সুন্দরবন বিখ্যাত, সেই সুন্দরী গাছ আজ ধ্বংসের পথে। এক সময় সুন্দরবনে অনেক বাঘ ছিল। এখন হাতেগোনা কয়েকটি বাঘের সন্ধান মিলতে পারে। মাঝেমধ্যে বাঘের অকালমৃত্যুর সংবাদ আমাদের ভাবিয়ে তোলে। কেউ কেউ বাঘ শিকার করছে বাঘের চামড়া পাচার করে অর্থ উপার্জনের আশায়। এরা বাঘের ছোট বাচ্চাদেরও রেহাই দিচ্ছে না। সুন্দরবনে মাছ ধরতে গিয়ে হরিণ শিকার করছে। একসময় সুন্দরবনে এমন ভীতিকর পরিবেশ ছিল যে, যদি কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ করত গাছপালার ভিড়ে চারদিক অন্ধকার দেখাত ও প্রাণীদের পায়ের আওয়াজে শরীরে শিহরণ সৃষ্টি হতো। এখন সুন্দরবনে প্রবেশ করলে প্রাণিকুলের সন্ধান পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সুন্দরবনে নদী দিয়ে প্রবেশ করা তেলবাহী জাহাজ ডুবে গিয়ে নদীর পানির সঙ্গে তেল মিশে মৎস্য প্রজাতির বিচরণক্ষেত্রে মারাত্মক বাধা সৃষ্টি করছে। এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তী প্রজন্ম সুন্দরবনের ইতিহাস-ঐতিহ্য জানতে পারবে না। সুন্দরবন যে পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, তা তারা বিশ্বাসই করতে পারবে না। তাই সুন্দরবন রক্ষায় যথাযথ কর্তৃপক্ষকে কঠোর আইন প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
তাইফুর রহমান মুন্না
মোরেলগঞ্জ, বাগেরহাট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন