রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

শ্রমিক থেকে মালিক আত্মপ্রত্যয়ী খলিল

বানারীপাড়া (বরিশাল) থেকে এস মিজানুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বানারীপাড়া উপজেলার বেতাল গ্রামের এক বেকারীর শ্রমিক খলিলুর রহমান এখন নিজেই বেকারীর মালিক হয়েছে। নিজের অদম্য ইচ্ছা আর আত্মপ্রত্যয়ী খলিল শিশু বয়সে কাউখালীর একটি বেকারীর কারখানায় ৩শ টাকা মজুরিতে শ্রমিকের কাজ করতো। শিশু খলিল ১৯৯৮ সালে তার জীবন যুদ্ধ শুরু হয়। সে সময় থেকে দারিদ্রতাকে পরাভূত করে কি ভাবে স্বাবলম্বী হওয়া যায় সেই স্বপ্ন দেখতে থাকে। মনোজোগ দিয়ে সে কাউখালীর বেকারিতে কাজ করতে থাকে। কারখানার সকল বিষয়ে অর্থাৎ বেকারীর পন্য উৎপাদন থেকে বাজারজাত করন পর্যন্ত সকল অভিজ্ঞতা অর্জন করে। তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন শুরু হয় ২০০৫সাল থেকে। খলিল কাউখালী থেকে নিজ বাড়ি বানারীপাড়ায় ফিরে আসে। নিজের কিছু জমানো টাকা এবং তার বড় ভাবী মুক্তা বেগমের সহযোগিতায় স্থানীয় বে-সরকারী সংস্থা বিডিএস থেকে ২০ হাজার টাকা লোন নিয়ে প্রথমে মিনি বেকারী কারখানায় বেকারীর পন্য তৈরী শুরু করে। বেকারীর দু’জন মাত্র শ্রমিকসহ নিজেই কারিকর, নিজেই বাজারজাত করতে থাকে। তার ব্যাবসায়িক সাফল্য প্রতিদিন বাড়তে থাকে। এনজিও বিডিএস থেকে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন অংকের লোন নিয়ে ধীরে ধীরে তার ব্যাবসার কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। তার বেকারীর পন্য এখন বানারীপাড়া, উজিরপুর, স্বরুপকাঠীসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে ভালো বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে সে এক লাখ টাকা লোন নিয়ে সুন্দর ভাবে আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে বেকারীর পন্য উৎপাদন করছে। এখানে দৈনিক ২৫০ থেকে ৩০ কেজি পন্য উৎপাদন হচ্ছে। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিদিন ২হাজার থেকে ২হাজার ২’শ টাকা লাভ থাকে। এখানে বর্তমানে ১০জন শ্রমিক কাজ করছে। তার বেকারীর নাম দিয়েছে আল মদিনা বেকারী। খলিল ৪০হাজার টাকা দিয়ে জমি কিনেছে। সেখানে বড় ধরনের বেকারী কারখানা স্থাপন করেছে। খলিল এখন শ্রমিক থেকে বড় বেকারীর মালিক হয়েছে। তার স্ত্রী রুপা বেগম ২টি অস্ট্রেলিয়ান গাভী প্রতিপালন করছেন। বেকারীর বজ্র গাভীর খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সে গাভী থেকে প্রতিদিন ৩’শ টাকা আয় হয়। এর সব কিছুই হয়েছে তার অদম্য ইচ্ছা আর আত্মপ্রত্যয়ে। সে সাথে আর্থিক জোগান দিয়েছে বে-সরকারী সংস্থা বিডিএস। খলিলের এ সাফল্যের বিষয়ে বিডিএস ম্যানেজার এটিএম মোস্তফা সরদার জানান, খলিল একজন সৎ, মৃদৃ ভাষী ও কর্মঠো। তার ব্যবহারে এলাকবাসী এবং ক্রেতারা মুগ্ধ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন