রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

খিরায় খুশি রসুনে হতাশ কৃষক

| প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম


এম ছানোয়ার হোসেন, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) থেকে : তাড়াশে খিরা চাষ করে বাম্পার ফলন ও আশাতীত ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। প্রতিমণ খিরা পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকায়। যা উৎপাদন খরচের চেয়ে ৩ গুণ বেশি। অল্প সময়ে স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় প্রতি বছরই খিরা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন নতুন নতুন কৃষক।
দিঘরিয়া গ্রামের কৃষক আলতাব আলী জানান, ১ বিঘা জমিতে খিরার চাষ করতে তার ১১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বাজারজাত করতে শ্রমিক খরচ আরো ৭ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ১৮ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। তবে ক্ষুদ্র বর্গাচাষীরা প্রতিবিঘা জমি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে আবাদ করায় তাদের খরচ আরো বেশি হয়েছে। ইতোমধ্যে ২০ দিনে তিনি ৪২ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করেছেন। ক্ষেত থেকে তোলা যাবে আরো প্রায় ৩০ হাজার টাকার খিরা। বারুহাস, তালম ও পালাশি গ্রামের কৃষক সবুজ মন্ডল, মাহাবুব হোসেন, আবুল কালাম, শহিদুল ইসলামসহ অনেকে জানান, এ পর্যন্ত প্রতিবিঘা জমিতে তারা ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করেছেন। অনুরুপ দাম পাওয়া গেলে আরো ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকার খিরা বিক্রি করা যাবে। কৃষকরা জানান, খিরা চাষে তারা ব্যপক সাফল্য পেয়েছেন। অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হয়েছেন উপজেলার হাজারও মানুষ।
এদিকে রসুনের বাম্পার ফলনের পরেও দাম নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন চাষীরা। প্রতিবিঘা জমিতে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে রসুন চাষীদের। আর বিক্রি করতে হচ্ছে ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা মণ।
রসুন চাষী করিম প্রামানিক, আছের আলী, আজগর প্রামানিক, জাকারুল ইসলাম, ফজলুর রহমান, হোসেন আলী, শাহাদত হোসেন জানান, প্রতিবিঘা জমির জন্য বীজ বাবদ ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা, সার-কীটনাশক প্রায় ৭ হাজার, নিড়ানি ও সেচ বাবদ ৬ থেকে ৮ হাজার এবং কৃষি শ্রমিকের মজুরি ৬ থেকে ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। সব মিলিয়ে তাদের খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকার মত। আর ক্ষুদ্র বর্গাচাষীরা প্রতিবিঘা জমি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বর্গা নিয়ে আবাদ করায় তাদের খরচ আরো বেশি হয়েছে।
চাষীরা এও জানান, রসুন চাষে এ বছর আশাতীত ভালো ফলন পেয়েছেন। প্রতিবিঘা জমিতে ২৪ থেকে ২৬ মণ রসুন হয়েছে। প্রতি মণ রসুন মাত্র ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত বছর এই সময়ে সর্বনি¤œ ২ হাজার থেকে সর্ব্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা মণ পর্যন্ত রসুন বিক্রি হয়েছে। ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকায় রসুন বিক্রি করে লাভের মুখ দেখা তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচ নিয়েই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ৩ শ’ ৩০ হেক্টর জমিতে খিরার চাষ হয়েছে। রসুনের চাষ হয়েছে ৪শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর খিরা চাষিরা নিশ্চিত লাভবান হয়েছেন। তবে রসুন চাষীরা ভালো ফলন পেয়েও দাম কম হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। চাষীদের রসুন ঘরে রেখে বাজার দর দেখে বিক্রির পরামর্শ দেন তিনি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন