টাঙ্গাইলের সখিপুর মুক্তিযোদ্ধের চারনভূমি হিসাবে খ্যাত। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে কাদেরিয়া বাহিনী সারা বিশ্বে সমাদৃত। অথচ সখিপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.জলিল এখন টোকাই। সফট ড্রিঙ্কসের খালি বোতল, প্লাস্টিক সামগ্রী দিন-রাত সখিপুরের বিভিন্ন সড়কে ঘুরে সংগ্রহ করে থাকে। যার মুক্তি বার্তা নং লাল বহি ০১১৮০৭০৭৭৩ বাংলাদেশ গেজেট নং ৪৫৫। মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সমাজের সর্বোচ্চ আসনে থাকার কথা তার। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করছেন। সখিপুর কচুয়া রোডে মূল সড়কের উত্তর পাশে একখন্ড জমিতে বস্তির মতো বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.জলিল বসবাস করেন। স্ত্রী অনেক আগেই মৃত্যুবরন করেছে। তার দুই মেয়ে চার ছেলে থাকা সত্তে¡ও কেউ দেখাশুনা করে না। বাসাইল উত্তরপাড়া নানা বাড়ির ওয়ারিশসূত্রে বাসাইল মৌজার ৮২৯নং খতিয়ানে ৭২৭ নং দাগে ৩৭শতাংশ জমি পায়। সে জমির কথা বলতে গিয়েও গত ১৪ মার্চ প্রতিপক্ষের পেটানি খেতে হয় তাকে।
এ বিষয়ে নিজে বাদী হয়ে বাসাইল থানা, টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার, সিআইডি, ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ এর নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরও কোন প্রকার আইনগত সহযোগিতা পাইনি বলে জানান মুক্তিযোদ্ধা আ.জলিল। মুক্তিযোদ্ধা আ.জলিল কানে একেবারেই কম শুনে ও চলতে গেলে হেলেদুলে পড়ে যায়। অভিমানে মুক্তিযোদ্ধা ভাতাও গ্রহন করেন না। রনাঙ্গনে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.জলিলকে যেখানে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরন করবে এবং তাঁর নিকট থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম মুক্তিযোদ্ধের ইতিহাস শুনে গর্ববোধ করবে-অথচ সেই মুক্তিযোদ্ধাই সমাজে, প্রশাসনে আজ নিঃগৃহীত। মুক্তিযোদ্ধে বিজয়ী আ.জলিল জীবন যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এখন টোকাই হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা আ.জলিল টোকাই হয়ে এভাবে অবহেলিত, নিষ্পেষিত হবে জাতি তা প্রত্যাশা করে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় আশু ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে সখিপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল এর অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাগন জোর দাবি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন