শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

আইন অমান্যেও থাকছে না শাস্তির বিধান!

| প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত কোম্পানির ন্যুনতম ১০ শতাংশ বা এর বেশিসংখ্যক শেয়ার অধিগ্রহণ অর্থাৎ কেনার প্রক্রিয়া সহজ করতে সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করে জনমতের জন্য চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ করেছে। তবে খসড়ায় আইনটি সহজ করতে গিয়ে এ আইনের নিয়ম লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে তদন্ত ও শাস্তির বিধান সম্পর্কিত বিদ্যমান আট ধারার পুরো অধ্যায়টি বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে আইনটি অমান্য করলে কী হবে-সে বিষয়ে করণীয় কিছু থাকছে না।
বিএসইসি গত বৃহস্পতিবার ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শেয়ার অর্জন, অধিগ্রহণ ও কর্তৃত্ব ও গ্রহণ’ শীর্ষক ২০০২ সালের বিধিমালা ব্যাপক সংশোধন করতে খসড়া চূড়ান্ত করেছে কমিশন। এরই মধ্যে জনমত যাচাইয়ের জন্য তা সংস্থার ওয়েবসাইট ও গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে কার্যকর ২০০২ সালের আইন অনুযায়ী, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির ১০ শতাংশ বা এর বেশি শেয়ার কিনতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সংঘবদ্ধ গুরুপকে আগাম ঘোষণা দিতে হয়। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, এ ঘোষণা স্টক এক্সচেঞ্জকে জানাতে হয় এবং অন্তত একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে দিতে হয়। আইনের এ বিধান অহরহ লঙ্ঘন হচ্ছে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এ বিষয়ে নিশ্চুপ। যদিও এ আইনের বিধান ভঙ্গের দায়ে সংশ্লিষ্টদের শেয়ার ব্যবসা না করার নির্দেশ প্রদানের ক্ষমতা আছে বিএসইসির। এ ছাড়া কমিশন চাইলে সংশ্লিষ্টকে ক্রয় করা শেয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা বা অবিলম্বে বিক্রির নির্দেশও দিতে পারে। এর বাইরে অন্য শাস্তি প্রদানের ক্ষমতা আছে সংস্থার, যা আইনটিতে উল্লেখ আছে। এ ছাড়া শেয়ার ক্রয়ে জড়িত ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও গ্রহণেরও সুযোগ আছে।
নতুন সংশোধন প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘উল্লেযোগ্য’ শেয়ার ক্রয়ের ক্ষেত্রে শুধু স্টক এক্সচেঞ্জকে জানালেই হবে এবং স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশের আগে ওই শেয়ার কেনা যাবে না। তবে দুর্বল মৌল ভিত্তির কোম্পানিকে পুনরুজ্জীবিত করতে শেয়ার কিনতে চাইলে উদ্দেশ্য ও শেয়ার ক্রয়ের পরিমাণবিষয়ক বিস্তারিত জানিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জ ও দুটি জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। এখানে দুর্বল কোম্পানি বলতে পুঞ্জীভূত লোকসানি কোম্পানি বা সর্বশেষ তিন বছর অভিহিত মূল্যের নিচে বাজারে শেয়ারটি কেনাবেচা হচ্ছে বা সর্বশেষ পাঁচ বছর শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেয় না- এমন কোম্পানিকে বোঝানো হয়েছে। তবে সংশোধিত আইনের খসড়ায় এ বিধান অমান্য করলে কী হবে, তা বলা হয়নি। বরং বিদ্যমান আইনের সব ধারা সংবলিত পুরো পঞ্চম অধ্যায়টি বাদ দেওয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন