আখাউড়া উপজেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে কামরুল মিয়া (১৮)সহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত কামরুল মিয়া একজন কিশোর গতকাল দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত কামরুল আখাউড়া উপজেলার দক্ষিন ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের নসু মিয়ার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের জজ মিয়া ও নসু মিয়ার লোকজনদের মধ্যে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে দুপক্ষের কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত কামরুল মিয়া ও ইকবাল মিয়াকে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাদের অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সেখানে কামরুল মারা যায়। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ইকবাল হোসেন। অপর আহতদের আখাউড়া ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা নসু মিয়া বাদী হয়ে গতকাল দুপুরে জজ মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৫ জনের নামে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গতকাল দুপুরে জজ মিয়া ও তারঁ দুই ছেলে ইমান মিয়া (২৫) ও শরীফ মিয়া (২৮)কে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত কামরুল মিয়ার বাবা নসু মিয়া বলেন, জজ মিয়ার সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে তাঁর লোকজন অতর্কিত হামলা করে। এতে তাঁর ছেলে মারা গেছেন। তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।
আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন বলেন, জজ মিয়া ও নসু মিয়ার লোকজনদের মধ্যে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এতে কামরুল ও ইকবাল গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কামরুল মারা গেছেন। ইকবাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুল আমিন বলেন, জজ মিয়া ও নসু মিয়া পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এতে কামরুল মারা গেছেন। থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। পুলিশ ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন