চলতি মাসে বিদেশি পোর্টফোলিওতে বিক্রি চাপ বেড়েছে। বেশিরভাগ ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ারে বিক্রি চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় চলতি মাসে অব্যাহতভাবে দরপতন হচ্ছে পুঁজিবাজারে।
চলতি মাসের প্রথমার্ধে মোট নয় কার্যদিবস লেনদেন হয় ডিএসইতে। এই সময়ে বিদেশি পোর্টফোলিওতে মোট লেনদেন হয় ৪৬৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার। যা এর আগের মাসের শেষ অংশের তুলনায় ৩.৩৯ শতাংশ কম বা ১৬ কোটি ৩৮ লাখ ৪০ হাজার টাকার লেনদেন কম হয়েছে।
চলতি মাসের প্রথম ১৫ দিনে বিদেশি পোর্টফোলিওতে শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে ২৯৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। এর বিপরীতে ১৭৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার কেনা হয়েছে। সেই হিসাবে আলোচ্য সময়ে নিট বিনিয়োগ কমেছে ৬৯.২৪ শতাংশ বা ১২০ কোটি ২২ লাখ টাকার।
চলতি মাসে ১৫ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক কমেছে ৩৭৮ পয়েন্ট। গত মাসের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক পাঁচ হাজার ৭৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করেছিল। তার ১৫ কার্যদিবস পরে সূচক নেমে এসেছে পাঁচ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে। এদিকে গত এপ্রিল মাসে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ২৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকার নিট বিনিয়োগ প্রত্যাহার করেন। গত এপ্রিল মাসে বিদেশি পোর্টফোলিওতে শেয়ার বিক্রয় করা হয়েছে ৫০৩ কোটি তিন লাখ টাকার। এর বিপরীতে শেয়ার কিনেছেন ৫২৭ কোটি ৭২ লাখ টাকার। এপ্রিল মাসে বিদেশি পোর্টফোলিওতে মোট লেনদেন হয় এক হাজার ৩০ কোটি ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার। এর আগের মাস মার্চে এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৫৫ কোটি ২৩ লাখ টাকার শেয়ার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন