ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে টাকা না দেওয়ায় ঘর নির্মাণে বাঁধা দিয়ে এক প্রবাসী নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। প্রবাসী ওই নারীকে পিটিয়ে একটি হাত ও পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলা সোহাগী ইউনিয়নের হাটুলিয়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী আয়েশা খাতুন স্বামী দুই ছেলে সন্তানসহ প্রায় ১০ বছর ধরে ইরাকে বসবাস করেন। গত দুই বছর আগে প্রতিবেশী হারুন মিয়ার কাছ থেকে ১৬ শতক জমি কিনে সম্প্রতি সেই জমিতে একটি পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। বৃদ্ধা মা ছালেমা খাতুনের আবদারে ঘর করতে কিছু দিন আগে দেশে আসেন। কিন্তু আয়েশা খাতুনের ঘরটির কিছু অংশ সরকারি সড়কের জমিতে রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে স্থানীয় প্রভাবশালী মো. বিপুল মিয়া। ওই অবস্থায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে সালিশ হয়ে মাপযোগ হয়। কিন্তু তাতে আয়েশার নির্মিতব্য ঘরটি সঠিক জায়গায় থাকায় সালিশ নিস্পত্তি হয়ে যায়। পরে বিপুল ২০ হাজার টাকা না দিলে কাজ করতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেয়। চাঁদার টাকা না দেওয়ায় গত সোমবার দুপুরে বিএনপি নেতা বিপুল, রবিকুল, হিরু ও তাদের লোকজন আয়েশার নির্মিতব্য বাড়িতে হামলা চালায়। পিটিয়ে আয়েশার একটি হাত ও পা ভেঙে দেওয়া হয়। মারধর করা হয় আয়েশার বোন হাজেরা খাতুন ও ভাই মারফত আলীকে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
এ ঘটনায় আয়েশা বেগমের ভাই আবুল কাশেম বাদি হয়ে মঙ্গলবার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এতে বিপুল, রবিকুল ও হিরুসহ ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৮ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই মামলাটি নথিভুক্ত করে। এদিকে বিপুলের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ রয়েছে।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সুমন মিয়া বলেন, বিপুলকে দাবি অনুযায়ী টাকা না দেওয়ায় নারীদের ওপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আহম্মেদ কবীর হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন