আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া পাউবোর বাঁধে মাটির কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফলে মাছ ব্যবসায়ীসহ হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
মহেশ^রকাটি থেকে উত্তর চাপড়া কাটাখালী খেয়াঘাট পর্যন্ত ওয়াপদার বাঁধের উপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ সাইকেল, মোটরসাইকেল, ভ্যানগাড়িতে যাতয়াত করে থাকেন। জরুরি ও গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ এলজিইডির মাধ্যমে বাঁধের উপর দিয়ে ইটের সোলিং করে। এতে ১৬ লাখ টাকা খরচ হয়। ফলে পথটি দিয়ে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০টি ভ্যানগাড়ি ও ৪০টি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল নিয়মিত ভাড়ায় যাত্রী ও মালামাল পরিবহন করে থাকে। এ ছাড়া ব্যক্তিগত সাইকেল ও মোটরসাইকেলসহ অন্য যানবাহনে যাতায়াত করে থাকেন অনেক মানুষ। ভাঙনকবলিত বাঁধটি রক্ষার জন্য পাইলিং ও বøক ফেলে কাজ করার পাশাপাশি এলাকাবাসী কেওড়া গাছ এবং সড়কের পাশে বাবলা ও শিশু গাছ লাগিয়েছেন। প্রায় তিন মাস আগে বøুগোল্ড প্রজেক্ট ঠিকাদার হায়দার আলীর মাধ্যমে রামদেবকাটি পূজা মন্দির থেকে উত্তর চাপড়া পুরাতন জামে মসজিদ পর্যন্ত বাঁধে মাটির কাজ করাচ্ছে। কিন্তু কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও সময়মতো কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকার ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম, প্রাক্তন ইউপি সদস্য আজহারুল ইসলাম ও বøুগোল্ডের গঠনকৃত কমিটির কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, মাটির কাজে শ্রমিক লাগানোর কথা থাকলেও সকল নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্কেমিটার (বেকু) মেশিনের সাহায্যে বাঁধের সেøাবের মাটি কেটে বাঁধে মাটি দেয়া হচ্ছে। সেøাবও ঠিকভাবে রাখা হচ্ছে না। একসাথে অনেক মাঠি গাছের উপর ফেলে শতাধিক কেওড়া, শিশু ও বাবলা গাছ মেরে ফেলা হয়েছে। সড়ক চালু রেখে অর্ধেকাংশ করে কাজ করা হলে যানবাহন ও পথচারী চলাচল বন্ধ হতো না, কিন্তু তারা এলাকাবাসীর দাবিকে ভ্রæক্ষেপ না করে একেবারে মাটি ফেলে সড়ক বন্ধ করে দেয়ায় এলাকাবাসীর একমাত্র চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়ে তাদের অনেকটা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সাথে সাথে ভ্যান ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকদের কাজ বন্ধ করে দিয়ে তাদেরকে চরম বিপাকে ফেলা হয়েছে। দৈনিক আয়ের উপর নির্ভরশীল এসব গরিব অসহায় মানুষগুলো সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।
এ ছাড়া মাটির কাজ করার সময় ইটের সোলিংয়ের ইট প্রথমে মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে, পরবর্তীতে ইট ওঠিয়ে বিক্রি করা এবং সুযোগ পেয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ ইট ওঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান আ ব ম মোছাদ্দেক জানান, বøুগোল্ড এলাকায় যেখানে কাজ করছে সেখানে নিয়ম অমান্য করে শ্রমিকের মাধ্যমে মাটি না কেটে মেশিন দিয়ে মাটির কাজ করছে। নিষেধ করা সত্তে¡ও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাফফারা তাসনীন বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। মাটি ভরাটের কাজে শ্রমিক না লাগিয়ে মেশিন ব্যবহার, কাজে অনিয়ম, সড়ক বন্ধ করে দেয়া এবং সরকারি ইট আত্মসাতের বিষয়টি তদন্তপূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন