শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

সচেতনতাই কমাতে পারে সড়ক দুর্ঘটনা

একটি সড়ক দূর্ঘটনায় খালি হয়ে যায় মায়ের কোল। সন্তানরা পড়ে যায় অনিশ্চিত ভবিষ্যতে। কিন্তু একটু সচেতনতাই কমাতে পারে এসব দুর্ঘটনা। গান শুনতে শুনতে, ফোনে কথা বলতে বলতে কখনোই রাস্তা পার হওয়া কিংবা চোখ দুটো মোবাইল ফোনে রেখে কখনোই রাস্তায় হাঁটা যাবে না। সর্বদা মনে রাখতে হবে সময়ের চেয়ে জীবনের মূল্য অধিক। সব সময় মানতে হবে ট্রাফিক সিগন্যাল। কমে যাক সড়ক দুর্ঘটনা; বীভৎস মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচুক হাজারো প্রাণ।

মাযহারুল ইসলাম অনিক
জেল রোড, যশোর

সৌরবিদ্যুতের ওপর গুরুত্ব দিন
বিশ্ব উষ্ণায়নের চোখ রাঙানির মাঝে সৌরবিদ্যুতের বিকল্প আর যে কিছুই নেই। এটাই সবচেয়ে পরিবেশবান্ধব। তাই বাংলাদেশকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি জেলা পর্যায়ক্রমে সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনা গেলে দেশের জন্য মঙ্গল। এতে সামগ্রিক বিল বিদ্যুৎ বিলের চেয়ে ৪০ শতাংশ কমে যাবে। গ্রাহকদের জন্যও হবে সুবিধাজনক। আমরাও পাব একটি পরিবেশবান্ধব দেশ। সুতরাং পরিবেশ রক্ষার জন্য ও গ্রাহকদের সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষকে সৌরবিদ্যুতের ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

লিয়াকত হোসেন খোকন
ঢাকা।

খাল রক্ষায় উদ্যোগ নিন
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শুভাঢ্যা খাল অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। সঠিক তদারকির অভাবে খালটির এখন মরণদশা। বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে খালের প্রায় তিন কিলোমিটার অংশে পানিপ্রবাহ বন্ধ হওয়ার উপক্রম। একসময় এই খালে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন অনেকে। চলাচল করত ছোট-বড় নৌকা। কিন্তু দখল ও দূষণের কারণে মাছ তো পাওয়াই যায় না বরং খালটিকে রক্ষা করাই এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের তদারকিতে কয়েক বছর পরপর খালের তলদেশের ময়লা-আবর্জনা অপসারণ, খনন ও খালের পানিপ্রবাহ চলাচলের ব্যবস্থা করা হলেও পরবর্তীকালে আবার বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনায় ভরে যায় খালটি। নির্দিষ্ট জায়গার অভাবে খালের দুই পাশের পোশাক কারখানা ও স্থানীয় দোকানগুলোর বিভিন্ন বর্জ্য, গৃহস্থালি ও অন্যান্য বর্জ্য হরহামেশাই ফেলা হচ্ছে খালে। খালপাড়ের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা যতদিন খালে বর্জ্য ফেলা বন্ধ না করলে বিভিন্ন বর্জ্যের কারণে খাল ভরাট হতেই থাকবে! দূষণে-দুর্গন্ধে একাকার খালের চারপাশ। খালটি যেন মশার কারখানা! স্থানীয়দের উচিত, খালটিকে অসচেতনভাবে মেরে না ফেলে সচেতনভাবে খালের সুফল পাওয়ার চেষ্টা করা। তাই খাল রক্ষার্থে আশপাশের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় মানুষের মধ্যে খালের গুরুত্ব বোঝানোসহ সচেতনতামূলক কর্মসূচি হাতে নেওয়া দরকার। এ ব্যাপারে খালপাড়ের বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীসহ সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সাধন সরকার
সাবেক ছাত্র, প্রথম ব্যাচ, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন