চাকরি পেতে এবং বিভিন্ন অফিসে কোনো কাজের জন্য ঘুষ এখন ওপেন সিক্রেট। সবাই জানে, তবু কেউ কিছু বলে না। দেখে মনে হয়, ঘুষ দেওয়া ও নেওয়া রীতিতে পরিণত হয়েছে। সমানতালে এগিয়ে চলছে নিয়োগ বাণিজ্য। এখন মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ হচ্ছে হাতে গোনা। নিয়োগের পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছেন রাজনৈতিক দলের ছোট নেতারা। পুরোটাই একটি সিন্ডিকেট। ঘুষ বাণিজ্য ও নিয়োগ বাণিজ্য সমান্তরালভাবে চলছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসও এই দুই বাণিজ্যের ফল। এ বাণিজ্যের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে ব্যক্তিজীবনে, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে এবং জাতীয় উন্নয়নে। বৃদ্ধি পাচ্ছে অপরাধপ্রবণতা ও পারিবারিক ভাঙন। চিকিৎসকদের টাকার মোহ ছেড়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। আর তা না হলে আগামী ১০ বছরে আমাদের স্বাস্থ্য খাত বিরাট হুমকির মুখে পড়বে। চিকিৎসকদের মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতে হবে চিকিৎসাসেবা ব্যবসা নয়। আসুন, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় গড়ে তুলি আগামী দিনের সুন্দর বাংলাদেশ। ঘুষ, দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে পারলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে একটি।
সুধীর বরণ মাঝি
হাইমচর, চাঁদপুর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন