বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

জলঢাকায় মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

জলঢাকা (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:১২ এএম


নীলফামারীর জলঢাকায় পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ কে এম ওয়ারেজ আলীর নামে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করতে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছে ওই শিক্ষকের স্ত্রীসহ তিন সন্তান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্ত্রী জোসনা বেগম বলেন,আমার স্বামী একজন ধর্মভীরু, সৎ ও দায়িত্ব পরায়ন ব্যক্তি। তিনি ছাত্রজীবন থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলেও কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। জলঢাকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি যখন পরিচালনা কমিটি নিয়ে বিভিন্ন মামলায় জর্জরিত হয়ে বিদ্যালয়সহ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার উপক্রম হয়েছিল তখন উপজেলা প্রশাসন বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমার স্বামীকে দায়িত্ব প্রদান করেন।
দায়িত্ব গ্রহণ করে ওয়ারেস আলী যখন বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নিরলস পরিশ্রম করে কাজ করে যাচ্ছিল তখনই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি’র সাবেক একটি কুচক্রি মহল তাদের স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করে একটি বিবাহিত মেয়েকে ছাত্রী বানিয়ে তাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং জেলহাজতে প্রেরণ করেন। লিখিত বক্তব্যে জোসনা বেগম সংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রেখে বলেন, পিতা-মাতা ও স্বামী থাকার পরেও ওই মেয়েটিকে এতিম দেখিয়ে তার নানী কিভাবে মামলার বাদী হলো এবং কেন মামলা দায়েরের পর পর বাদীনি ও ছাত্রী নিখোজ হলো তা জানতে চাই? তিনি আরো বলেন, বাবা-মা ও স্বামী থাকা সত্তে¡ও ভাড়া বাসায় বৃদ্ধা নানীকে নিয়ে ওই ছাত্রী বিলাস বহুল জীবনযাপন করে কিভাবে? তার এই অর্থ আসে কোথা থেকে প্রসাশনের কাছে জানতে চাই? সংবাদ সম্মেলনে এই মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারসহ সুষ্ঠ তদন্তের দাবি জানান স্ত্রীসহ পরিবারবর্গ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ারেস আলীর স্ত্রী জোসনা বেগমসহ ছেলে রেদওয়ানুল হক,রেজাউল ইসলাম রাজা ও রাজ্জাকুল হক বাবু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর জলঢাকা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের মামলায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ কে এম ওয়ারেজ আলীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন