কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন শাকিলকে হত্যার ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত সোমবার রাতে মামলা করেন নিহত শাকিলের পিতা কুলাসার গ্রামের ছালেহ আহাম্মদ বতু। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নামাজে জানাযা শেষে নিহত শাকিলের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাযা নামাজে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক হেলালসহ আ.লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তবে রাজনৈতিক কোন নেতাকে জানাযার পূর্বে বক্তব্য দিতে দেয়া হয়নি।
জানা গেছে, সোমবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়া রাস্তার মাথায় বাস থেকে সন্ত্রাসী কুলাসার গ্রামের আবদুর রহমান, পূর্ব ডেকরা গ্রামের রহমত উল্যাহ রবিন, রিদুয়ান প্রকাশ হৃদয় ও শওকত প্রকাশ সৈকতের নেতৃত্বে অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জন তাকে নামিয়ে ফেলে। এরপর অপহরণ করে তাকে শর্শদি এলাকায় নিয়ে রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে আত্মীয় স্বজনরা শাকিলকে উদ্ধার শেষে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সোমবার রাতেই শাকিলের পিতা ছালেহ আহাম্মদ বাদি হয়ে সন্ত্রাসী আবদুর রহমান, রহমত উল্যাহ রবিন, হৃদয় ও সৈকতের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন