নদী দখল রোধে মৃত্যুদন্ডের মত কঠোর সাজার বিধান রেখে আইন করা প্রয়োজন। গায়ের জোরে নদী দখল করবে সভ্য দেশে এটা হতে পারে না। অসভ্য লোক আমাদের দরকার নেই, যারা ক্ষুধার্ত হায়নার মত আচরণ করে, এটি বাঙালি জাতির সাথে যায় না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে গতকাল বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যা নদীর দূষণ রোধে সচেতনতামূলক কর্মসূটির উদ্বোধনে এ সব কথা বলেন র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে র্যাব প্রধান বলেন, বিআইডব্লিউটিএকে অনুরোধ করব- এই যে নদী দূষণ যেমন সমস্যা, দখল কিন্তু আরেকটি সমস্যা। দখল রোধের জন্য আমাদের... আমি মনে করি টাফ ল দরকার। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে বেনজীর বলেন, দরকার হলে নদী দখলের জন্য মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে আইন করার জন্য প্রস্তাব করেন। বর্তমান আইনে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে কী শাস্তির বিধান আছে জানতে চাইলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিআইডব্লিউটিএ-এর যুগ্ম পরিচালক আরিফ হোসেন বলেন, নদী দখল রোধে কঠোর কোনো আইন এখন নেই। জলাধার ও পরিবেশ আইনে ম্যাজিস্ট্রেট নদী দখলকারীদের সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ও জরিমানা করতে পারেন। এছাড়া পোর্ট অ্যাক্ট ও পোর্ট রুলসও আছে, তবে তাতে সাজা খুবই ‘নগণ্য’ বলে জানান বিআইডব্লিউটিএ-এর যুগ্ম পরিচালক। অন্যদের মধ্যে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক মো. কাইয়ুম উজ্জামান এবং লালবাগ বিভাগের পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন