বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া আংশিক) আসনে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ অথবা মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি দলীয় জোটের প্রার্থী হতে পারেন

পাবনা থেকে মুরশাদ সুবহানী | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:২৬ পিএম

আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা , সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে যোগ দেওয়ায় টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। জেলা শহরে এবং সাঁথিয়ায় এ নিয়ে মিশ্র আলোচনা চলছে। ১/১১ সরকারে সময় তিনি আওয়ামীলীগের কয়েকজন নেতার মতই সংষ্কার পহ্ণিদের দলে যোগ দেন। তাঁর ঢাকার বাড়িতে বৈঠক হয়। অনেককেই আওয়ামীলীগ দলে ফিরিয়ে নিলেও তাঁকে নেওয়া হচ্ছিল না। কারণ তিনি সংষ্কারবাদের উপর একটি বই লেখেন, এতেই তাঁর কপাল পোড়ে বলে অনেকের ধারণা। মঈন ইউ আহমেদ-ফখরুদ্দিনের টানা ২ বছরের শাসন আমলে তিনি সংষ্কার পহ্নিদের সাথে যোগ দেন। অনেকে ফিরেছেন আ’লীগে, তাঁকেও ফিরিয়ে নিয়ে এবার পাবনা -১ নির্বাচনী আসনে আ’লীগ মনোনয়ন দেবেন বলে আশা করছিলেন । কিন্তু কপাল পোড়ে ঐ লেখা বইয়ের কারণে। আওয়ামীলীগ হাইকমান্ড’র বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁকে দর্শক সাঁড়ির প্রথমে দেখা যাওয়ায় অনেকে মনে করছিলেন , তিনি আ’লীগে ফিরছেন। কিন্তু তাঁর উপর আস্থা আনতে পারেননি দলের হাইকমান্ড । আমজনতার আলোচানায় উঠে আসছে, সংষ্কার পহ্œিদের অনেকেই আওয়ামীলীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এ কথা বোঝাতে সমর্থ হয়েছেন যে, তাঁরা মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দিনের কেয়ার টেকার সরকারের নির্যাতনের ভয়ে সংষ্কার পহ্নিতে গিয়ে ছিলেন জান বাঁচাতে। কিন্তু অধ্যাপক আবু সাইয়িদ বই লেখায় দলীয় হাইকমান্ড তাঁর উপর নাকোশ হন এবং তাঁর উপর আস্থা আনতে পারছিলেন না। এবারও তিনি পাবনা-১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় মনোনয়ন তোলেন। কিন্তু বিধি বাম। পুনরায় মনোনয়ন পেয়েছেন, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. শামসুল হক টুকু। এই আসনে অধ্যাপক আবু সাইয়িদও আ’লীগের এম.পি ছিলেন, বিএনপি ভোট ব্যাংক এলাকার মধ্য থেকেও তিনি আ’লীগের ভোট পেয়েছেন। আলোচকদের অনেকের ধারণা পাবনা-১(সাঁথিয়া-বেড়া আংশিক) এই আসনে তিনি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হতে পারেন, তাহলে এই আসনের বিএনপি’র সাবেক এম.পি ও পানি সম্পাদ মন্ত্রী মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদেরকে সরিয়ে চৌহালী আসনে নিতে হবে। এই আসনে জামায়াতের ডা: আব্দুল বাসেত মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এতে নাকোশ হয়ে জামায়াত সমর্থকরা দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে মাও: নিজামী(মানবতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধ মামলায় ফাঁসিতে দন্ডিত) পুত্র ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। এ পর্যন্ত ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না বলেই জানা গেছে। তিনি বর্তমানে বিদেশে এবং বৃটেন ও তুরস্কের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেছেন। আমজনতার মন্তব্য, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ অথবা মেজর (অব) মঞ্জুর কাদের এই দুইজনের মধ্যে যে কোন একজন এই আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হতে পারেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন