টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনে আগামী জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৩৭টি মামলা মাথায় নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিএনপি প্রার্থী যুদদলের কেন্দ্রিয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
হলফনামায় দেখা যায়, সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নামে ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দায়েরকৃত ১৩৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি মামলা বিচারাধীন এবং ৫৭টি মামলা তদন্তাধিন রয়েছে। এছাড়াও এসময়ে দায়েরকৃত আরো ২৯টি মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত রয়েছে। মামলাগুলো বেশির ভাগই ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানায় দায়ের করা হয়েছে। বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, সন্ত্রাস দমন আইন, দ্রুত বিচার আইন ও বিভিন্ন ফৌজদারি দণ্ডবিধিতে মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া অতীতে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নামে চারটি মামলা হলেও সবগুলো থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন। বর্তমানে তিনি গত মে মাস থেকে কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।
তার বড় ভাই টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফা জানান, সবগুলো মামলাতেই হাইকোর্ট থেকে জামিন লাভ করেন। পরে অ্যাপিলের ডিভিশনে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ১১টি মামলা অ্যাপিলের বিভাগে স্থগিত হয়। গতকাল বুধবার (৫ ডিসেম্বর) চেম্বার জজ আদালতে শুনানি হয়। সে আদেশ আজ বৃহস্পতিবার (৬ ডিসেম্বর) দেয়ার কথা থাকলেও আগামী রবিবার (৯ ডিসেম্বর) আদেশের জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম তোফা জানান, বর্তমান সরকার আসার পর তার ভাই সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একের পর এক হয়রানি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাতে অংশ নিতে না পারে সেজন্য এ মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগের দুইজন বৈধপ্রার্থী, একজন হলো প্রার্থী তানভীর হাসান ছোট মনির ও অন্যজন হলেন বর্তমান এমপির ছেলে খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল। মশিউজ্জামান রোমেলের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই, তবে তানভীর হাসান ছোট মনিরের বিরুদ্ধে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সাতটি মামলা হয়েছিল। সবগুলোতেই তিনি খালাস পেয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন