রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

হাজীগঞ্জে আ.লীগে একক বিএনপি দোটানায়

বি এম হান্নান, চাঁদপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

চাঁদপুর-৫ হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আলোচনা জমে উঠেছে হোটেল রেঁস্তোরা, হাট-বাজার ও অফিস পাড়ায়। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এখানে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে একক প্রার্থী। কিন্তু বেকায়দায় ধানের শীষের নেতাকর্মীরা। এ আসনে ধানের শীষ প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন নিয়েছেন সাবেক এমপি এম এ মতিন ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক। যাচাই-বাছাইয়ে মমিন-মতিন দু’জনেরই মনোনয়ন টিকে গেছে। এখন কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপি নেতাকর্মীরা।

হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি দুটি উপজেলা নিয়ে চাঁদপুর-৫ নির্বাচনী এলাকা। হাজীগঞ্জে জনসংখ্যা ৩,২৭,৩৬৭ জন।
ঐতিহাসিক বড় মসজিদখ্যাত হাজীগঞ্জ আর হযরত রাস্তি শাহ (র.) পূণ্যভূমি শাহরাস্তির সর্বস্তরের লোকজনের মধ্যে নির্বাচনী আমেজ জমে উঠেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অতীতে ভোটের হিসেব নতুন করে কষতে শুরু করেছে তারা। ১৯৯১ সালে ধানের শীষ প্রতীকে এমপি নির্বাচিত হন এম এ মতিন। ১৯৯৬ সালে আ.লীগের এমপি নির্বাচিত হন মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। ২০০১ সালে ফের বিএনপি থেকে এমপি নির্বাচিত হন সাবেক এমপি এমএ মতিন। ২০০৮ সালের নির্বাচন ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হন মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। এরপর বিএনপির সাবেক এমপি এম এ মতিন নিজের অসুস্থতা দেখিয়ে রাজনীতি থেকে অবসরগ্রহণ করেন। সে সময় বিএনপির মনোনয়ন পান ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক।

নৌকা প্রতীকে মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি এবার অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। দলীয় অন্য মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বরফ গলতে শুরু করেছে। নৌকার পক্ষে কাজ করতে আ.লীগ ঐক্যবদ্ধ হতে শুরু করেছে।
২০০৮ সালের পর থেকে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে বিএনপি অনেকটা সুসংগঠিত ছিলো। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় লায়ন মমিনুল হক মূলত সেই সময় থেকে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে রেখেছেন। বিশেষ করে বিএনপির আন্দোলনে যে সকল নেতাকর্মী মামলার শিকার হয়েছিলেন তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক সহায়তাসহ আইনী বিষয়গুলো দেখবাল করেন মমিনুল হক।
এ সব কারণে দলের কমপক্ষে ৮০ ভাগ নেতাকর্মীর সমর্থন মমিনুল হকের পক্ষে। বহু মামলার আসামী বিএনপির শত শত নেতাকর্মী যখন আদালতে হাজিরা দিতে ব্যস্ত, ঠিক সেই মুহূর্তে দলীয় প্রতীক দুইজনকে দেয়ায় হতাশ তারা। দলের দুর্দিনের কান্ডারী লায়ন ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হককে ধানের শীষ দেয়া হোক এমনটাই প্রত্যাশা বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মীর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন