কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাক্ষণপাড়া) আসনে দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর জমজমাট লড়াইয়ের অপেক্ষায় এ আসনের ভোটাররা। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। অন্যদিকে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য চারবারের এমপি অধ্যক্ষ মো. ইউনুছ। হেভিওয়েট এই দুই প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ায় স্থানীয় ভোটাররাও খুশি। স্বাধীনতা-পরবর্তী কুমিল্লা-৫ আসনটি ছিল অধ্যক্ষ মো. ইউনুছের দখলে। এ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ মো. ইউনুছ। ১৯৭৩ সালে প্রথমবার আওয়ামী লীগ, পরে ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র, ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন অধ্যক্ষ মো. ইউনুছ।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে পরিচিত অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ১৯৯১, ১৯৯৬ নির্বাচন, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপি নির্বাচিত হন। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। আওয়ামী লীগে দলীয় কোন্দল না থাকলেও বিএনপিতে কিছুটা কোন্দল রয়েছে। সেই কোন্দলকে সামাল দিয়ে পুনরায় এ আসনটি দখলে নিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন দলটির নেতারা।
আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের প্রার্থীর জয় পেতে। নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে, সরকারের নানা অনিয়ম তুলে ধরে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে জেল থেকে মুক্তির কথা বলে ভোট চাইছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনটি দলের নেতারা তাদের ‘প্রেসটিজ ইস্যু’ হিসেবে নিয়েছেন। কোনো নেতাই তাদের প্রার্থীকে হারতে দেখতে চান না। ফলে নির্বাচনকে ঘিরে ভোটারদের নানাভাবে আকৃষ্ট করছেন তাদের প্রার্থীকে ভোট দিতে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বুড়িচংয়ে যে উন্নয়ন হয়েছে তারচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে গত ১০ বছরে। বুড়িচংয়ের উন্নয়নের রূপকার হচ্ছেন মতিন খসরু। তার কারণেই বুড়িচং আজ সারা দেশে উন্নয়নের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি নেই বুড়িচংয়ে। ফলে কুমিল্লা-৫ আসনের ভোটাররা মুখিয়ে আছে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে। অপরদিকে বিএনপি নেতারা বলছেন, বিগতদিনে হামলা-মামলায় জর্জরিত বুড়িচংয়ের মানুষ। এছাড়াও সারা দেশে আওয়ামী লীগের অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে তারা ভোটাদের কাছে ভোট চাইছেন। তাছাড়া বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রাখার বিষয়টিও তারা ভোটারদের সামনে তুলে ধরে ভোট প্রার্থনা করছেন। বিএনপি নেতারা মনে করেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে কুমিল্লা-৫ আসনটি পুনরায় বিএনপি ফিরে পাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন